চলতি মাসের গোড়াতেই হাজার দুয়েক ভারতীয় মৎস্যজীবীর উপরে হামলা চালিয়েছিল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। ফের একই ঘটনা ঘটল। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ু উপকূল থেকে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের একটি দলের উপর হামলা চালিয়েছে শ্রীলঙ্কার নৌসেনারা। এক মৎস্যজীবী গুরুতর জখম বলে খবর।
রামেশ্বরম থেকে মৎস্যজীবীদের ওই দল সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, তাঁরা যখন কাটচাথিভু দ্বীপের কাছে মাছ ধরছিলেন, তখনই হানা দেয় শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। ওই অঞ্চলকে শ্রীলঙ্কার জলসীমা বলে দাবি করে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অবিলম্বে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। পাথর ছুড়ে মৎস্যজীবীদের উপর হামলা করা হয়েছে জানা গিয়েছে। তাঁদের অনেকগুলি জাল ছিড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
আক্রান্ত হয়ে তামিলনাড়ু উপকূলে ফিরে এসেছেন মৎস্যজীবীরা। একজন আঘাত গুরুতর। অনেকগুলি মাছ ধরার ট্রলার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তামিলনাড়ুর সরকারি সূত্র জানিয়েছে, কাটচাথিভু দ্বীপের সংলগ্ন এলাকা শ্রীলঙ্কা বরাবরই নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করে। এর আগেও হাজার হাজার ভারতীয় মৎস্যজীবী আক্রান্ত হয়েছিলেন লঙ্কার নৌবাহিনীর হাতে। অভিযোগ, নির্বিচারে গুলিও চালায় শ্রীলঙ্কার নৌসেনারা। পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর। মাসের প্রথমে দু’হাজার মৎস্যজীবী হামলার মুখে পড়েছিলেন। শতাধিক ট্রলার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই ব্যাপারে নয়াদিল্লিকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার নৌসেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন পাঁচ ভারতীয় মৎস্যজীবী। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে আনে শ্রীলঙ্কা সরকার। বিচারে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর পরেই ভারতের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। তামিলনাড়ু জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাস। কথাবার্তা চলে কূটনৈতিক স্তরেও। শেষে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রদ করে মুক্তি দেয় শ্রীলঙ্কার সরকার।