গতকালের তুলনায় ফের কমল দৈনিক সংক্রমণ। কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ। এখন দেশে অ্যাকটিভ কেস সাড়ে ৫ লক্ষের থেকে কিছুটা বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে ভারতে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৮১,৮৪,০৮২। কোভিড সংক্রমণে এ যাবৎ দেশে মৃত্যু হয়েছে ১,২২,১১১ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৪,৯১,৫১৩ জন। ভারতে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫,৭০,৪৫৮। দেশে এখন সুস্থতার হার ৯১.৫৪ শতাংশ। আর মৃত্যুহার ১.৪৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড টেস্ট করা হয়েছে ১০,৯১,২৩৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,৯৬৩ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৭০ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৮,৬৮৪ জন।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশে কোভিড সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত এবং কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। মূলত এই ৬ রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমেরিকা ও ব্রাজিল। অন্যদিকে কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
মহারাষ্ট্রে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৭২,৮৫৮। অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,২০,৫৬৫। কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮,২০,৩৯৮ জন। তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,২২,০১১। উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮০,০৮২। দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮১,৬৪৪।