করোনা সংক্রমণের কার্ভ কমছেই। দৈনিক বৃদ্ধিও কম। গতকাল দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের কাছাকাছি ছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আজকের বুলেটিনে দেখা গেল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৪৬ জন। গত বছর সেপ্টেম্বরে এক ধাক্কায় ৯০ হাজার ছাড়িয়েছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এখন সেখানে ২০ হাজারের নীচে নেমে গেছে।
করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও অবিশ্বাস্যভাবে কমেছে। কিছুদিন আগেও ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখ ছিল। আজ ২ লাখে নেমেছে। অ্যাকটিভ কেসের হারও কম, ২.০৪%।
কোভিডে মৃতের সংখ্যাও কম। সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যু দুশোর নীচে নেমেছে। কেরল, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশে এখনও কোভিড কার্ভ উর্ধ্বগামী হলেও, বাকি রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে। এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর তথা আর-নম্বর ০.৯০ পয়েন্টে থিতু হলেও, আরও কমবে বলেই আশা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সুস্থতার হারও বেড়েছে দেশে। সংক্রমণ সারিয়েছেন কোটির বেশি করোনা রোগী।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, দেশে ১৮ কোটির বেশি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। সুস্থতার হারও বেড়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হচ্ছে দেশে। তার আগে দেশের ১৩টি শহরে কোভিশিল্ড টিকা পৌঁছে দিচ্ছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। মোট ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টিকার ডোজ পৌঁছে গেছে বিভিন্ন শহরে। কলকাতাতে ৬.৯ লাখ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ এসে গেছে। জেলায় ও শহরে টিকার বন্টন চলছে। রাজ্যের ৩৫৩টি কেন্দ্রে টিকাকরণ হবে। ৪৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোভিশিল্ড টিকার পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজও সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে হায়দরাবাদ থেকে দিল্লিতে কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ পৌঁছে গেছে।