আজ ফের সেনার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে। লাদাখ সমস্যা মেটাতে এটা নবম দফার বৈঠক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা উত্তেজনা কমানো ও সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্যই এদিন চিনের দিকে মল্ডোতে দু’দেশ বৈঠকে বসতে চলেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
যদিও এই বৈঠক ঘিরেও খুব একটা আশা নেই সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তা ও কূটনীতিবিদদের মধ্যে। আগের আট দফা বৈঠকে যেভাবে কোনও সমাধান বের হয়নি এই বৈঠকেও তাই হতে চলেছে বলে মত তাদের।
প্রাক্তন নর্দার্ন আর্মি কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডা জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে যে আলোচনা চলছে সেটাই অনেক ভাল খবর। তিনি বলেন, “তবে দেখে মনে হচ্ছে কোনও সমাধান বের হবে না। কারণ যে ভিত্তির উপর দু’দেশ সহমত হবে সেরকম কোনও ভিত্তিই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকে সেই ভিত্তিটা তৈরি করতে হবে। সেটা যেহেতু এখনও হয়নি তাই সেনার এই বৈঠক থেকে আমরা বিশেষ কিছু আশা করতে পারি না।”
এর আগে অষ্টম দফার বৈঠকে ভারতীয় সেনা ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি একমত হয়েছে যে তারা সীমান্তের একেবারে কাছে জওয়ানদের মহড়া করবে না। কারণ এই মহড়া দেখে অপর পক্ষের মধ্যে কোনও ভুল বার্তা যেতে পারে। তাতে আরও সমস্যা হতে পারে।
কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে বলেছিলেন, “ভারত আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই কোনও সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী। কিন্তু সেটাকে যেন কেউ আমাদের দুর্বলতা না মনে করে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করার ভুল যেন কেউ না করে।”
শনিবার যোধপুরে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকে এস ভাদোরিয়া বলেন, “যদি ওরা আক্রমণাত্মক হয় তাহলে আমরাও আক্রমণাত্মক হব। আমরা পুরোপুরি তৈরি আছি। ছেড়ে কথা বলব না।”
লাদাখ সীমান্তে মাঝেমধ্যেই আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানদের মহড়া দেখা যায়। সেটা যুদ্ধ বা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা জন্য কিনা সেই প্রশ্ন বায়ুসেনা প্রধানকে করা হলে তিনি বলেন, “দ্বি-পাক্ষিক মহড়া কোনও দেশের বিরুদ্ধে করা হয় না। সেটা করা হয় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভাল করার জন্য এবং যারা মহড়ায় যুক্ত তাদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য। তবে যেটা দেখা যাচ্ছে না, সেটা যে হচ্ছে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। পূর্ব সীমান্তেও অনেক মহড়া চলছে।”