বেশ খানিকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত দু’দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি ছিল। কিন্তু এদিন তা কমে হল ২৭ হাজার। অর্থাৎ গতকালের থেকে ১০.৫ শতাংশ আক্রান্ত কমেছে এদিন। আর সেইসঙ্গে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ লাখের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও এদিন সাড়ে ৩০০-র কম। কমেছে দৈনিক সুস্থতাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় ফের কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭ হাজার ৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ১৪ ডিসেম্বর, সোমবার, সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ১০০ জন।
বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৫ জন। ভারতে করোনায় মৃত্যুহার ১.৪৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ৩০ হাজার ৬৯৫ জন। ভারতে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৫৯ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৪.৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেশে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৫৮৬ জন। মোট আক্রান্তের ৩.৫৭ শতাংশ রোগী এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রয়েছেন।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৪১৬ জন। মহারাষ্ট্রে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৪৮ হাজার ২০৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কর্নাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ১ হাজার ৪১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৯৪৪ জনের। তিন নম্বরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭০৫৭ জনের। চার নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৯৫ জনের। পাঁচ নম্বরে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭ হাজার ৪৫৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৪ জনের। ছ’নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮০৭২ জনের।