ভারতের ৯০ কোটি ভোট দাতার সম্ভাব্য রায় নিয়ে জোরদার জল্পনা চলছে দুই পড়শি, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে । সেখানে নয়াদিল্লির কুর্সিতে নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনার পাশাপাশি আলোচনায় আসছে ভারতের সংখ্যালঘুদের কথা এমনকি, পশ্চিমবঙ্গে ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাও ।
বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির দৈনিকে সোমবারের শিরোনাম ‘পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্যে শেষ হল লোকসভা নির্বাচন’। প্রকাশিত খবরে উত্তর কলকাতা লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা ও ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের উপস্থিতিতে গণ্ডগোলের কথা ফলাও করে লেখা হয়েছে, লেখা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের ওপর হামলার ঘটনা। বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লীগের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একটি দৈনিক আবার সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে পরবর্তী সরকার গঠনের বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী দেশ গড়তে তেলেগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর দৌত্য এবং আঞ্চলিক দল গুলির সঙ্গে ভোট পরবর্তী বোঝাপড়া গড়ে তুলতে সনিয়া গান্ধির তৎপরতা উঠে এসেছে সেই খবরে। সে দেশের অন্য একটি বহুল প্রচলিত দৈনিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের বুয়া-ভাতিজা জোটের সাফল্যের সম্ভাবনা এবং কেরালার ভোট যুদ্ধে রাহুল গান্ধির উপস্থিতিতে বামেদের বাড়তি চাপও আলোচনায় এসেছে। ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ আর নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে কি না, প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে উপজীব্য, সাউথ ব্লকে নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কী প্রভাব ফেলবে। লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, মোদী ফের ক্ষমতায় এলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটবে। কিন্তু ভোটের প্রচারে মোদী যে ধারাবাহিক ভাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গ সামনে এনে ইসলামাবাদকে নিশানা করেছেন, সে কথাও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। পাকিস্তানের একটি প্রথমসারির ইংরেজি সংবাদ পত্রের দাবি, ভারতীয় রাজনীতির ভবিষ্যতের দিশা নির্দেশ করবে সপ্তদশ লোকসভা ভোট। ৩০০ র বেশি আসন নিয়ে নয়াদিল্লীতে এনডিএ জোট ক্ষমতায় ফিরলে ভারতকে সরকারি ভাবে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বানানোর তৎপরতা শুরু হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওই সংবাদপত্রটি ।