মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে নতুন ক্রেতা সুরক্ষা বিল। তাতে বেশ কয়েকটি নতুন অধিকার পাচ্ছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন পণ্যের নির্মাতা সংস্থাগুলিকে আরও দায়িত্বশীল হতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা অথবা খুঁতযুক্ত পণ্য গছানো, দু’টি ক্ষেত্রেই কড়া শাস্তির ব্যবস্থা আছে নতুন আইনে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোনও সেলিব্রিটি যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় এমন পণ্যের বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করেন, তবে তাঁদেরও জরিমানা হবে। কেউ যদি ভেজাল জিনিসের বিজ্ঞাপনে অংশ নেন, তাহলেও একই শাস্তির মুখে পড়বেন।
ক্রেতাদের নতুন অধিকার
১) এখন থেকে ক্রেতা তাঁর বাড়ি অথবা কর্মস্থল থেকে জেলা কনজিউমার কমিশন অথবা রাজ্য কনজিউমার কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর আগে ক্রেতা যেখান থেকে পণ্যটি কিনেছেন অথবা যেখানে বিক্রেতার রেজিস্টার্ড অফিস আছে, কেবল এই দু’টি জায়গা থেকেই অভিযোগ করা যেত। নতুন আইনে ক্রেতাদের হয়রানি কমবে। তাঁরা কোনও ক্রেতা সংগঠনের মারফৎ অভিযোগ জানাতে পারেন। অথবা একই পণ্যের বহু ক্রেতা একসঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
২) খুঁতযুক্ত জিনিস কিনে ঠকলে ক্রেতা সেই পণ্যের নির্মাতা অথবা বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কোনও পরিষেবায় সন্তুষ্ট না হলেও একইভাবে অভিযোগ জানানো যাবে। ক্রেতাকে পণ্যের গুণমান সম্পর্কে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পালিত না হলে নির্মাতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। কোনও ক্রেতার সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকেও ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
৩) অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বারা যদি কোনও ক্রেতা প্রতারিত হন কিংবা তাঁকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়, তাঁর অভিযোগ লিখিতভাবে অথবা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে জেলাশাসক, রিজিওনাল অফিসের কমিশনার এবং সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটির কাছে ফরওয়ার্ড করে দেওয়া যাবে। তাঁরা সাধারণভাবে ক্রেতাদের একটি শ্রেণি ধরে নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিবেন।
৪) জেলা কমিশনের কাছে হলফনামা অথবা প্রামাণ্য নথি পেশ করে ক্রেতা শুনানির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তিনি আবেদন করলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি হবে।
৫) কমিশন শুনানি ছাড়া কোনও অভিযোগ বাতিল করতে পারবে না। অভিযোগ গৃহীত হল কিনা ২১ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। তার মধ্যে কিছু না জানালে অভিযোগ গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।