গুশন কুমাররে ছেলে ভূষণ কুমার জানান, ‘বাবার আশির্বাদ সর্বদা আমাদের মাথার উপর আছে। বাবার আশির্বাদের জোরেই আজ আমি এই জায়গায় পৌছেছি। এটা বললেও ভুল হবে না, যে করোনাকে তাড়াতে হনুমান চল্লিশা বর্তমানে ওষুধের ন্যায় কাজ করছে। আমাদের টি সিরিজ পরিবারের কাছে এই অত্যন্ত আনন্দ সংবাদ, যেখানে একটি ভক্তিমূলক ভিডিও আজকের দিনে ১ বিলিয়ন ভিউ হয়েছে’।
লকডাউনে প্রকাশ পাচ্ছে ভক্তি
লকডাউনের জন্য জারী করা সরকারী নির্দেশ মান্য করতে বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত ধর্মীয় স্থানও। যার ফলে এখন মানুষজন মন্দিরের বদলে ঘরে বসেই আরাধ্য দেবতার পূজা অর্চনা করছেন। এই সময়ে তবে বাইরে বেরনো নিষেধ থাকার কারণে, মানুষজন বাড়িতেই পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। টিভি দেখছেন, গল্প গুজব করছে, এমনকি দূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ইনডোর গেমসও খেলছেন। তবে এই সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে হনুমান চল্লিশা।
গুগলে সার্চ হচ্ছে হনুমান চল্লিশা
সমীক্ষা বলছে, লকডাউনের পর থেকে গুগল এবং ইউটিউবে হনুমান চল্লিশা সার্চ করা মানুষের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভবত, এই দুর্যোগ থেকে একমাত্র ভগবানই পারে সকলকে রক্ষা করতে, সেই কারণেই বহু মানুষ এখন ঘরে বসেই হনুমান চল্লিশা পাঠ করছেন।
ছাপিয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড
অনুসন্ধান করে যানা যায়, গত ১২ মাসের হিসাবে, জনতা কারফিউয়ের আগের দিন অর্থাৎ ২১ শে মার্চের মধ্যে গুগলে হনুমান চালিশা অনুসন্ধান করার হার একেবারে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পরে, ২৪ শে মার্চ থেকে হনুমান চালিশার অনুসন্ধান খুব দ্রুত হারে বেড়েছে। যার মধ্যে ৫ থেকে ১১ ই এপ্রিলের মধ্যে এই সার্চের পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। আবার ইউটিউবেও ২২ শে মার্চ থেকে ১১ ই এপ্রিলের মধ্যে হনুমান চল্লিশা সার্চ করার মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে ব্যাপকহারে। টি-সিরিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে হনুমান চালিশাকে ৯৬২ মিলিয়ন মানুষ দেখেছেন।