রাজনীতির পর এবার সরকার নীতিতেও শক্ত হাতে কামান সামলাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রথমত পাঠকদের জানিয়ে দি, জম্মুকাশ্মীর রাজ্যের তিনটি ডিভিশন রয়েছে। প্রথম জম্মু, দ্বিতীয় কাশ্মীর তৃতীয় লাদাক। ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার লাদাক ডিভিশনের তৈরি করেছিল। জম্মুকাশ্মীর রাজ্যের সবথেকে বড় এলাকা লাদাকের এরপর জম্মুর এবং সবথেকে ছোটো কাশ্মীর। কাশ্মীর চারটে জেলার এলাকা কিন্তু পুরো জম্মুকাশ্মীরে কাশ্মীরি মুসলিমরা কবজা করে বসে আছে। এটা নেহেরু এবং কংগ্রেসের ভুলের জন্য। কারণ কাশ্মীরে বেশি বিধানসভা আসন করে দেওয়ায় পুরো রাজ্যের রাজনীতিতে সবথেকে বেশি দাপট কাশ্মীরি মুসলিমদের থাকে। বিধানসভা আসন বেশি তারউপর আবার প্রায় ১০০% মুসলিম বহুল যার জন্য সেখানে পুরো রাজ্যের ফলাফল কি হবে তা এই ছোটো জায়গার উপর নির্ভর করে।
অন্যদিকে জম্মুর এলাকা কাশ্মীরের থেকে বড়। জম্মুতে প্রায় ৬৫% হিন্দু জনসংখ্যা রয়েছে বাকি ৩৫% মুসলিম জনসংখ্যা আছে। কিন্তু কাশ্মীরে ১০০% মুসলিম জনসংখ্যা আছে, এক সময় জিহাদ করে সেখান থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে রয়েছেন অমিত শাহ, যিনি তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অমিত শাহ আপাতত জম্মুকাশ্মীরের বিধান সভা আসনের যে ভাগাভাগি রয়েছে সেটার উপর হাত দেবেন। অমিত শাহ জম্মুতে বিধান সভার আসন বাড়াতে চান, যাতে সেখানে রাষ্ট্রবাদী মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো যায়।
একবার জম্মুকাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে হিন্দু রাষ্ট্রবাদী ব্যাক্তি বসলে সেখান থেকে ধারা ৩৭০ এবং 35Aকে সরানো খুবই সহজ হয়ে যাবে। এখন যদি জম্মুকাশ্মীরে বিধানসভার ভোটিং হয় তবে সেখানে মেহেবুবা মুফতি বা আব্দুল্লা মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর যদি জম্মুর বিধানসভা আসন বাড়িয়ে দেওয়ার পর ভোটিং করানো হয় তবে ছবি সম্পুর্ন বদলে যাবে। অমিত শাহ একজন রাষ্ট্রবাদী ও পরিপক্ক রাজনীতিবিদ। উনি কাশ্মীর সমস্যার পার্মানেন্ট সমাধান করতে চান যার উপর কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর।
জনসংখ্যা ও এলাকা দুই দিক দিয়েই জম্মু , কাশ্মীরের থেকে বড়। তাই অমিত শাহ জম্মুতে বিধানসভা আসন বাড়িতে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এখন শুধু সময়ে অপেক্ষা, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ ও 35A মুছে ফেলা হবে। এখন সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকেই এগোচ্ছেন অমিত শাহ।