প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে নতুন সংসদ ভবনের। অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সোমবার এক শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, ভূমি পূজন শুরু হবে মোদীর উপস্থিতিতেই। যদিও এই প্রজেক্টের জন্য নতুন করে কোনও নির্মাণ কাজ বা ভাঙার কাজ করা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
১০ই ডিসেম্বর ভূমিপূজা বা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদী সরকারের স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্টে নতুন করে কোনও নির্মাণ যাতে না হয়, নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণে ক্ষতি হবে পরিবেশের। এই মর্মে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই অভিযোগের শুনানিতেই সোমবার এই রায় দিয়েছে আদালত।
কেন কেন্দ্র সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রজেক্টে গতি আনতে চাইছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এই বিষয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তিরস্কার করে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্তপ্রায় তিন কিমি এলাকা নিয়ে নতুন সংসদ ভবন ও বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস নির্মাণের প্রজেক্ট তৈরি করে কেন্দ্র। তাতেই বাদ সাধে সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার শীর্ষ আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে জানায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা যেতে পারে। কিন্তু নির্মাণ কাজ করা চলবে না। এদিকে, নতুন সংসদ ভবন হবে আগের থেকে অনেক বড়। লোকসভায় ৮৮৮ জন সাংসদ বসতে পারবেন। রাজ্যসভায় ৩২৬ জনের আসন থাকবে। বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩, আর রাজ্যসভার ২৪৫। ভবিষ্যতে আসন পুনর্বিন্যাসের পর দুই কক্ষেই সাংসদের সংখ্যা বাড়বে। ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে মোট ১২২৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন নতুন সংসদ ভবনে। ৮৬১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বরাতে সংসদ ভবন তৈরি করছে টাটা গ্রুপ। নতুন সংসদ ভবনের জন্য আনুমানিক ব্যয় হবে ৯৭১ কোটি টাকা।
নতুন ভবনে প্রত্যেক সাংসদের জন্য কার্যালয় থাকবে। নিজস্ব অফিসে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন। সেগুলি হবে পেপারলেস অফিস। অর্থাত্ পুরো কাজ হবে যন্ত্রের সাহায্যে, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। নতুন ভবনের নির্মাণ কার্যে প্রত্যক্ষভাবে ২ হাজার লোক কাজ করবেন, এছাড়াও পরোক্ষভাবে কাজ করবেন ৯ হাজার লোক। সংবিধান হলঘর, সাংসদ লাউঞ্জ, খাবার জায়গা, গ্রন্থাগার, পার্কিং লট সবই তৈরি হবে। নতুন ভবনটি ত্রিভুজাকৃতির হবে।