নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি একুশ শতকের ভারতবর্ষের চাহিদাকে মাথায় রেখে, উন্নয়নের নতুন শিখর ছোঁয়ার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। কী ভাবে ভাবতে হয়, তাতেই গুরুত্ব জাতীয় শিক্ষানীতিতে। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শুক্রবার ইউজিসি আয়োজিত ‘কনক্লেভ অন ট্রান্সফরমেশনাল রিফর্মস ইন হায়ার এডুকেশন আন্ডার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন, এমফিল বন্ধ-সহ শিক্ষাপদ্ধতির বদল নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এই নীতি নয়া শতাব্দীতে আমাদের নতুন দিশানির্দেশ দেবে। তাই এই নীতির প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করুন। রণনীতি তৈরি করুন। রোডম্যাপ বানান। সময়সীমা স্থির করুন। শুধু সরকারি নির্দেশিকা জারি করে নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করা সম্ভব নয়, তা গ্রহণ করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, নতুন শিক্ষানীতিতে প্রযুক্তি ও প্রতিভার মেলবন্ধন ঘটবে। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে সমাজের। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি একুশ শতকের ভারতবর্ষের চাহিদাকে মাথায় রেখে, উন্নয়নের নতুন শিখর ছোঁয়ার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক দেশই তাদের শিক্ষানীতিকে জাতীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তোলে এবং সেই মতো শিক্ষানীতির সংস্কার করে।


প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বশাসন নিয়ে দু’টি মত রয়েছে। এক দল বলে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অপর দল পুরোপুরি স্বশাসনের পক্ষে। প্রকৃত শিক্ষার পথ এই দু’টি মতের মাঝখান দিয়ে গিয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও বাড়তি ক্ষমতা পাবে নয়া নীতিতে। নতুন নীতিতে যুব সমাজের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। একই কর্মক্ষেত্রে জীবনভর আটকে থাকতে হবে না।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃতি দিয়ে মোদী বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, উচ্চশিক্ষা শুধু আমাদের জ্ঞান দান করে না, নিজেদের অস্তিস্ব উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। একটি পাঠক্রম মাঝপথে ছেড়ে কোনও পড়ুয়া যদি অন্য পাঠক্রমে যেতে চায়, নতুন ব্যবস্থায় তা আরও সহজ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে অনুসন্ধান, আলোচনা এবং বিশ্লেষণ নির্ভর শিক্ষার উপর।
জাতীয় শিক্ষানীতি এক তরফা ভাবে চালু করা হয়নি বলেও জানান মোদী। তাঁর কথায়, কোথাও পক্ষপাতদুষ্টতা নেই। দেশ জুড়ে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এমন বিতর্ক স্বাস্থ্যকর। আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণ হবে, যা গত তিন বছর নানা স্তরে মত বিনিময় ও সমীক্ষার মাধ্যমে আমরা ঠিক করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.