ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব (আইআইএসএফ) ২০১৯-এর প্রথম দিনে কলকাতার সায়েন্স সিটি একটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করে। জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা সংক্রান্ত ৪৫ মিনিটের একটি শিক্ষামূলক অধিবেশনে ১,৫৯৮ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
এই অধিবেশনে স্পেক্ট্রোস্কোপ নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেন। আমাদের থেকে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে মহাকাশে যে সমস্ত মহাজাগতিক বস্তু রয়েছে তাদের তাপমাত্রা, রাসায়নিক গঠন সহ অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা স্পেক্ট্রোস্কোপ ব্যবহার করেন।
একটি উন্নত স্পেক্ট্রোস্কোপ খুব সহজেই যে কেউ তৈরি করতে পারেন। এর জন্য কার্ডবোর্ডে নির্মিত একটি বাক্স দরকার যার মধ্যে অতিক্ষুদ্র একটি ছিদ্র থাকবে। ঐ ছিদ্র দিয়ে আলো এই স্পেক্ট্রোস্কোপে পৌঁছবে।
এক টুকরো কম্প্যাক্ট ডিস্ক ঐ আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায়। মেঘনাদ সাহা এবং সি ভি রমনকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিবেদিত হয়েছে।
পঞ্চম আইআইএসএফ, ২০১৯ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শহরে অনেকগুলি বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে ভারতের বিজ্ঞান চর্চাকে একটি উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে গেছেন। আইআইএসএফ বিশ্বের বৃহত্তম উৎসব। চলতি বছরে এই উৎসবের থিম হল ‘রাইজেন ইন্ডিয়া’ বা উদীয়মান ভারত – গবেষণা, উদ্ভাবন এবং বিজ্ঞানের মাধ্যমে জাতির ক্ষমতায়ন।
আইআইএসএফ-এর দ্বিতীয় দিনে এক হাজারের ওপর ছাত্রছাত্রী বৈদ্যুতিন বিষয় এবং অপটিক্যাল মিডিয়ার যোগাযোগের ওপর একটি পাঠক্রমে যোগ দেবেন। ইনফ্রারেড সিগন্যালের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ইনফ্রারেড ব্যান্ডের মাধ্যমে আলোর তরঙ্গের মুক্ত স্থানে বিচ্ছুরণের প্রক্রিয়া ওয়্যারলেস ইনফ্রারেড যোগাযোগের মাধ্যমে করা হবে। চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের উদ্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।