নয়াদিল্লি— ফের নামবদল হল দিল্লির ঐতিহ্যের এক সরকারি গ্রন্থাগারের। পুসার ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থানের (আইএআরসি) ‘প্রোফেসর এম এস স্বামীনাথন লাইব্রেরি‘ হল ‘প্রোফেসর এম এস স্বামীনাথন ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল সায়েন্স লাইব্রেরি‘। কর্তৃপক্ষের দাবি, কেবল এ দেশে নয়, গোটা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় এই মানের সমগোত্রীয় গ্রন্থাগার আর নেই।
গ্রন্থাগারটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আইএআরসি-র যুগ্ম অধিকর্তা তথা ডিন রশ্মি আগরওয়াল। এই গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু ১৯০৫-এ উত্তর বিহারে তৈরি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (এআরআই)। ১৯১১-তে এআরআই হল ইম্পিরিয়াল ইন্সটিট্যুট অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ। ১৯১৯-এ নাম বদল করে হয় ইম্পিরিয়াল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিট্যুট। ১৯৩৪-এর ১৫ জানুয়ারি পুসায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ১৯৩৬-এ গোটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় গ্রন্থাগার। ২০১৬-র ২৯ এপ্রিল এটির নাম রাখা হয় সবুজ বিপ্লবের জনক হিসাবে চিহ্ণিত এমএস স্বামীনাথনের নামে।
গ্রন্থাগারিক রাজশ্রী আনন্দ জানান, ক‘দিন আগে এটিকে জাতীয় গ্রন্থাগারের স্বীকৃতি দিয়ে নাম বদল করা হয়েছে। অ্যাগ্রো-বায়োলজি এবং সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ের ওপর এখানে প্রায় সাত লক্ষ গবেষণাপত্র, বই, মনোগ্রাফ, জার্নাল, বার্ষিক সমীক্ষা, অনূদিত সাময়িকী আছে। ফেলোশিপ এবং স্নাতকোত্তরের থিসিস আছে অজস্র। সদস্য দু’হাজারের ওপর। ২৬ জানুয়ারি, ১৫ আগস্ট ও ২ অক্টোবর— বছরের এই তিন দিন, গেজেটেড ছুটি এবং রবিবার ও দ্বিতীয় শনিবার ছাড়া বছরের প্রতিটি দিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে ১২ ঘন্টা খোলা।
অশোক সেনগুপ্ত