অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডব এখনও পর্যন্ত ভুলতে পারিনি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশা। ফের চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট উপকূলের দিকে। সোমবার সকালে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আনন্দ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে
ধীরে ধীরে উত্তর অভিমুখ বরাবর এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি। তার পর সেটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ৩ জুন (বুধবার) সন্ধে কিংবা রাতের দিকে উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাটের উপকূলে হরিহরেশ্বর এবং দমনের মাঝে সেটি আছড়ে পড়তে পারে। আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের ঘূর্ণনের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটার।

গতিবেগ সর্বোচ্চ মাত্রায় উঠতে পারে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার। এই ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তবে লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে, কেরল এবং উপকূলীয় কর্নাটকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোঙ্কণ, গোয়া, মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে এবং গুজরাটে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর।

এই সময় সমুদ্র ব্যাপক উত্তাল হবে। জলের উচ্চতা ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, কেরল এবং লাক্ষাদ্বীপের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে। কেন্দ্রীয় পৃথিবী বিজ্ঞান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। পৃথিবী বিজ্ঞান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর, লাক্ষাদ্বীপ এলাকা এবং কেরল উপকূলে যেতে বারণ করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। এছাড়াও ৩ জুন পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং কর্ণাটক-গোয়া উপকূল বরাবর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ৩-৪ জুন মহারাষ্ট্র উপকূল বরাবর পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং গুজরাট উপকূল বরাবর উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.