নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসূ সাভারকরের ব্রিটিশ বাহিনীতে যুবকদের যোগ দেওয়ার সম্পর্কে বলেছিলেন —
যে যখন ভারতের অন্যান্য নেতারা দূরদর্শিতাহীনতার পরিচয় দিয়ে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে মানা করেছিলেন, তখন বিচক্ষণ সাভারকর তরুণ প্রজন্মকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে বলছিলেন। এই দেশভক্ত তরুণরা বৃটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বলেই আজ আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন সম্ভবপর হয়েছে।
।। রাসবিহারী-সাভারকর-সুভাষ ।।
বিশেষত, রাসবিহারী ও সাভারকর জীবনে কোনদিন কংগ্রেসের কোনও আন্দোলন এর সঙ্গে সহমত ছিলেন না।
একই তথ্য তুলে ধরেন, রাসবিহারী বসুর ভাই বিজনবিহারী বসু। তাঁর মতে, সাভারকরের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসু। সাভারকর ১৯৩৭ সালে মুক্তি পাবার পর, তিনি সাভারকরের সঙ্গে একত্রে কাজ করার কথা লেখেন। সেই মত সাভারকর যখন ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০সাল পর্যন্ত হিন্দু মহাসভার নেতা ছিলেন, রাসবিহারী বসুও জাপানে হিন্দু মহাসভা স্থাপন করে তার সভাপতির পদ অলংকৃত করেছিলেন। ঐতিহাসিক গবেষকরা মনে করছেন, যে সাভারকরই নেতাজী ও রাসবিহারীর সংযোগমাধ্যম হয়ে ওঠেন। তারপর তো তৈরি হল ইতিহাস। নেতাজী জার্মানী ঘুরে জাপানে পৌঁছে রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ বাহিনীর রাশ নিয়ে নেন।
বৌদ্ধিক বিভাগ
মধ্যভাগ