কাশ্মীরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে নেহেরু ও গাঁধী পরিবার; মন্তব্য আরএসএস নেতার

স্বাধীনতার পর অনেকবার কাশ্মীর নিয়ে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ও গাঁধী পরিবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা অরুণ কুমার। বুধবার কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, যখন মহারাজা হরি সিংহ জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়তে বলেছিলেন, তখন তাঁর কথা না শুনে বিশ্বাসঘাতকতা করে কংগ্রেস।

এদিন অরুন কুমার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন। আরএসএস নেতা বলেন, যেদিন পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীর অধিকার করা নিয়ে দাবি তোলে, সেদিন মহারাজা হরি সিংহ ভারতের সাহায্য চায়। সেই সময় ২ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক ডাকেন এবং হরি সিংহকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু তৎকালীন সেনাপ্রধান একজন ব্রিটিশ ছিলেন, তাই তিনি ইচ্ছে করে দেরি করে অস্ত্র পৌঁছান।

তিনি আরও বলেন, তারপর হরি সিংহ কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে এক করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন সরকার তাকেই রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন। এরকম করে কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে সব থেকে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কাশ্মীরের কথা না ভেবে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা শেখ আব্দুল্লার কথা শোনেন এবং তাঁর পক্ষ হয়ে কথা বলেন। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় ৫০ টি পরিবারের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাই তাঁরা আজকে হুঙ্কার দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.