রবার্ট বঢরাকে কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা দরকার, আদালতে বলল ইডি

দ্য ওয়াল ব্যুরো : বিরাট অঙ্কের টাকা তছরুপের মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢরাকে বন্দি করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে ইডির কৌঁসুলি বলেন, রবার্টকে কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করলে তবেই ‘মানি চেন’ সম্পর্কে জানা যাবে। অর্থাৎ তছরুপ করা অর্থ কীভাবে নানা হাত ঘুরে বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা হত তা জানা যাবে।

রবার্ট আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি চন্দ্রশেখরকে ইডির আইনজীবী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, অর্থ তছরুপের ঘটনায় অনেকে জড়িত। তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আচ্ছে। রবার্ট জানেন তারা কারা। কিন্তু তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাঁকে কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করলে তবে তিনি মুখ খুলবেন।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরার স্বামী রবার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তছরুপ করা অর্থে তিনি লন্ডনের ১২ নম্বর ব্রায়ানস্টোন স্ট্রিটে একটি ম্যানসন কিনেছেন। তার দাম প্রায় ১৯ লক্ষ পাউন্ড। এছাড়া হরিয়ানা ও রাজস্থানে তাঁর বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে।

ইডি-র কৌঁসুলির বিরোধিতা করে এদিন রবার্টের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখনই ডাকা হয়েছে, তিনি তখনই হাজির হয়েছেন। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি বলে মানতে চাননি। এর অর্থ এই নয় যে, তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। হাইকোর্টে এই মামলায় ফের শুনানি হবে ৫ নভেম্বর।

গত মঙ্গলবার রবার্টের কৌঁসুলি হাইকোর্টে বলেন, ইডি তাঁর মক্কেলের সব নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। এই অবস্থায় তিনি প্রমাণপত্র নষ্ট করতে পারবেন না। তাছাড়া তিনি যে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন, এমনও প্রমাণ নেই। আসলে ইডি এখনও এমন কিছু পায়নি যাতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া যায়।

ইডি আদালতে বলেছিল, জামিনে মুক্ত থাকলে রবার্ট বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। রবার্টের কৌঁসুলি বলেন, আমার মক্কেল বিদেশে থাকাকালীন খবরের কাগজ পড়ে জানতে পারেন, ইডি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চলেছে। তখনই তিনি দেশে ফিরে আসেন। এই ঘটনায় প্রমাণ হয়, তিনি বিদেশে পালাতে চান না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.