নজিরবিহীন করোনা সংক্রমণ রাজ্যে। বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজারের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় তা ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাতে দৈনিক সংক্রমণের হারও বেড়েছে আগের থেকে। মৃতের সংখ্যাও ৫৬। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনে চলার দিকেই নজর দিচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৪৮। এর মধ্যে কলকাতা (২,৬৪৬) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (২,৩৭২) শীর্ষ স্থানে। রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমণের চিত্র— দার্জিলিং (৩১৮), জলপাইগুড়ি (১৮২), জলপাইগুড়ি (১৮২), উত্তর দিনাজপুর (১৬৭), দক্ষিণ দিনাজপুর (৬২), মালদহ (৪৬৭), মুর্শিদাবাদ (৪৫৯), নদিয়া (৪৫৫), বীরভূম (৬২৪), পুরুলিয়া (৩৭৬), বাঁকুড়া (২০৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (১১০), পূর্ব মেদিনীপুর (৩৪৭), পূর্ব বর্ধমান (৩৭২), পশ্চিম বর্ধমান (৫৯৬), হাওড়া (৬৭১) এবং হুগলি (৫৭৮)। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০৪ জন।
সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল ৫৬ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় ১৪ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া এবং হুগলিতে ৪ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ১০ হাজার ৭৬৬ জন। বুধবার মারা গিয়েছিলেন ৫৮ জন।
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৩ হাজার ১৫৪ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১১ হাজার ৯৪৮ জনের। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বুধবার সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ২২.৪৮ শতাংশে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩ হাজার ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৭৯৮ জন।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ১২১ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৯৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭৭ জনকে।