লোকসভায় ৩০২, রাজ্যসভায় মোটে ৯৯। বিজেপি এবার ভোটে লোকসভায় ৩০২ টি আসন পেয়েছে ঠিকই কিন্তু রাজ্যসভায় তাদের আসনে আটকে আছে ৯৯ তে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও পছন্দমতো আইন করতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাবে ২০২১ সালের নভেম্বরে। তখন এনডিএ রাজ্যসভাতেও গরিষ্ঠতা লাভ করবে।

এখন রাজ্যসভায় এনডিএ-র আসন আছে ১০২ টি। ইউপিএ-র আছে ৬৫ টি। যে দলগুলি কোনও জোটে নেই, তাদের আসন ৭৩ টি। রাজ্যসভায় গরিষ্ঠতা পেতে হলে ১২৩ টির বেশি আসন থাকা দরকার।

এবার উত্তরপ্রদেশে অনেকগুলি লোকসভা আসন লাভ করছে বিজেপি। সেখানে থেকে রাজ্যসভায় অনেককে জিতিয়ে আনতে পারবে তারা। চলতি বছরে রাজ্যসভায় ১০ টি আসন শূন্য হবে। ২০২০ সালে শূন্য হবে ৭২ টি আসন।

চলতি বছরেই ভোট হবে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে। সেখানে বিজেপি কতগুলি আসন পাবে, তার ওপরে নির্ভর করবে রাজ্যসভায় গেরুয়া ব্রিগেডের কতজন নির্বাচিত হবেন।

রাজ্যসভায় যাঁরা বিজেপির ফ্লোর ম্যানেজার, তাঁদের বিশ্বাস, লোকসভা ভোটে বিপুল বিজয়ের পরে তিন রাজ্যের বিধানসভাতেও তাঁরা ভালো ফল করবেন। এর পাশাপাশি বিহারে জেডি ইউ, তামিলনাড়ুতে এডিএমকে এবং মহারাষ্ট্রে শিবসেনার টিকিটে যাঁরা রাজ্যসভায় আসবেন, তাঁদের সংখ্যা যোগ করলে ২০২১ সালের নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যসভায় এনডিএ-র আসন হবে ১২৪-এর বেশি।

এর আগে কয়েকটি দল নানা ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় বিজেপিকে সমর্থন করেছে। তারা এনডিএ বা ইউপিএ কোনও জোটেই ছিল না। দলগুলি হল, বিজেডি, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এবারেও তারা বিজেপিকে সমর্থন করবে বলে পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন।

গতবারে অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তিন তালাক এবং নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল পাশ করাতে পারেনি এনডিএ। রাজ্যসভায় বিলগুলি আটকে গিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভায় গরিষ্ঠতা পেলে সরকার ইচ্ছামতো বিল পাশ করাতে পারবে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এখন রাজ্যসভার সদস্য। তিনি আগামী মাসে অবসর নেবেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অসম থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই রাজ্যে এখন কংগ্রেসের যা অবস্থা, মনমোহন সিং-এর জায়গায় আর কাউকে জিতিয়ে আনতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.