দেশের সাতটি রাজ্যে যখন পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে, তখন ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত অঞ্চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে সাইক্লোন ফণী গিয়েছিল, সেখানে ত্রাণকার্য কেমন চলছে, তা তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে খতিয়ে দেখেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন নবীন। পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নবীনবাবু খুব ভালো কাজ করেছেন।
তাঁর কথায়, ভোটের জন্য এখন সকলেই ব্যস্ত। কিন্তু সাইক্লোনে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা আরও বেশি প্রয়োজন। যাঁরা আগেভাগে মানুষকে সরিয়ে এনেছিলেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পরস্পর সহযোগিতা করে চমৎকার কাজ করেছে।
সংবাদ সংস্থার একটি টুইটে দেখা যায়, মোদী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে ত্রাণ নিয়ে আলোচনা করছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের প্রথম সারির আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
পরে মোদী বলেন, এবার স্থানীয় মানুষ, বিশেষত মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। সাধারণত মানুষকে বাড়ি ছেড়ে আসতে বললে তারা সহজে রাজি হয় না। কিন্তু ওড়িশার মানুষ সারা দেশকে দেখিয়েছেন, সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কীভাবে কাজ করতে হয়। তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে যে সহযোগিতা করেছেন, সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পরে ফের নবীন পট্টনায়েকের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তাঁর প্ল্যানিং চমৎকার।
সাইক্লোন ফণী আসার আগে ওড়িশার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে তাঁদের বাড়ি থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল। ৫ হাজার অস্থায়ী শিবিরে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে কয়েক হাজার সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণে নেমে পড়েন। মানুষকে সরিয়ে আনার জন্য দেড় হাজার বাস তৈরি রাখা হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় আসার আগে আবহবিদরা যেভাবে নির্ভুল পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, তার প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মুখপাত্র ডেনিস ম্যাকক্লিন বলেন, ভারতের আবহাওয়া অফিস প্রায় নিখুঁতভাবে বলে দিয়েছিল, কোথায় সাইক্লোন মাটিতে আছড়ে পড়বে। তারপর খুব পরিকল্পনা করে বহু লোককে সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে সাইক্লোন শেলটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
গত ২০ বছরে ফণীর মতো শক্তিশালী সাইক্লোন ভারতে আর আসেনি। তা যখন পুরীর কাছে উপকূলে আছড়ে পড়ে, তখন তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। এর ফলে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাতেও সাইক্লোনের প্রভাব পড়ে।