নরেন্দ্র মোদীর একটা বড়ো গুন হলো- উনি চমক দিতে ভালোবাসেন। এই কারণে দেশের কিছু কাজ না বলেই করেন এবং কাজ সম্পূর্ণ হলে তা সম্পর্কে দেশবাসীকে অবগত করান। উদাহরণসরুপ, নোটবন্দি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক, এন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নির্মাণ ইত্যাদি।
সবক্ষেত্রেই নরেন্দ্র মোদী চমক দিয়েছেন। অবশ্য প্রত্যেকটি কাজের আগে উনি কিছু সঙ্কেত প্রদান করেন। যা শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের চোখেই পড়ে। জি 7-র বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুব বড় একটি সংকেত দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে ” গোটা পাকিস্তান তো ভারতেরই অংশ।” আসলে, ঘটনাটি হলো যে কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন।
আর তারপর ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে রাজি। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর ২৬শে আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্সে G-7 বৈঠকে ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত করেন। G-7 বৈঠকে মোদী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করেন এবং বলেন যে পুরো পাকিস্তানই ভারতের অংশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রত্যক্ষ ভাষায় বলেন যে – ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সব বিষয় দ্বিপাক্ষিক, এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাউকেই মধ্যস্থতা করার দরকার নেই। এছাড়া মোদি এটাও বলেন যে পাকিস্তান তো গঠিত হয়েছে ১৯৪৭ সালে, কিন্তু এর আগে তো পাকিস্তান ভারতেরই অংশ ছিল।
গত কিছুদিন আগে যখন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তারপর মোদি সরকারের রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্ঠভাবে বলে দিয়েছিলেন যে এবার যা কথা হবে শুধু pok কে নিয়েই হবে কারণ pok কাশ্মীরের অংশ, অর্থাৎ ভারতের অংশ। তাই pok কে ভারত আবার ফেরত নেবে। জানিয়ে দি, যেই জনতা পার্টি থেকে নরেন্দ্র মোদি যেই জনতা পার্টির অন্তর্গত সেই জনতা পার্টিটি আরএসএস এর সাথে সম্পর্কিত। আরএসএস সবসময়ই অখন্ড ভারতের বিষয়কে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। আর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি এর আগে নিজেই আরএসএসে ছিলেন, উনি পাকিস্তানকে ইতিহাসে ভারতের অংশ বলেছেন।