ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা। কলকাতায় মৃত্যু ঘটেছে এক যুবকের। পাশাপাশি যাদবপুরের পর থেকে সোনারপুর, বারুইপুর এলাকার চিত্রটাও বেশ খারাপ।
গঙ্গাসাগরে ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। প্রবল ঝড়ে ইতিমধ্যে সেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি-দোকান ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি সেখানে গাছও ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, বুলবুলের আক্রমণের পর রাজ্যে পরিস্থিতিটা ঠিক কেমন তা নিয়ে মমতার সঙ্গে কথা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর।
রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানান, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে সব রকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুর্গত মানুষদের পাশে রয়েছি আমরা।”
একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সকলের সুরক্ষিত থাকার প্রার্থনাও করেছেন। অন্যদিকে শনিবার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা দেখা এবং সামাল দেওয়ার জন্য কাল রাতে কন্ট্রোল রুমে হাজির ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে সব ব্যবস্থার তদারকি করেন।
শুধু কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা নয়, ইতিমধ্যে রাজ্যবাসীকে বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে লিখেছিলেন, কোনওভাবে আতঙ্কিত হবেন না। শান্ত থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। এবং পরে ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তখন বিপদ যে কেটে গেছে সে কথাও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা বিশেষ করে সাতক্ষীরাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে বুলবুল।