হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির জন্যই পরিচিত বিজেপি। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে গরিব, তফশিলি জাতি ও জনজাতির কল্যাণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার জন্যও প্রশংসিত বিজেপি। কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতি ও প্রকল্পে হিন্দুদের পাশাপাশি গরিব মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও লাভবান হয়েছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্পষ্ট বার্তা, নিজেদের দলের কাজের প্রচার করতে শুধুমাত্র হিন্দুদের কাছে পৌঁছলেই হবে না বিজেপি কর্মীদের। অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছেও পৌঁছতে হবে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের।
চলমান জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের সহকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছেন, শুধু হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে নিজেদের বার্তা নিয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা বাড়ানো উচিত দলীয় কর্মীদের। উল্লেখ্য, দলিত, তফসিলি জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির উপর নজর দিয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন নীতির মাধ্যমে প্রান্তিক সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক ভাবে স্থান করে দিয়েছে তারা। আর তাতে নির্বাচনীভাবে লাভবান হয়েছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড়ের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। মুসলিম অধ্যুষিত এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের উদাহরণ তুলে ধরে মোদী দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন, এটা দেখতে হবে যে আমাদের নীতি কীভাবে সংখ্যালঘুদের সাহায্য করছে যার কারণে তারা আমাদের ভোট দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, বৈঠক চলাকালীন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির প্রধান স্বতন্ত্র দেব সিং একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা শুধুমাত্র হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়।’ এদিকে বিরোধীরা চিরকালই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার জন্য দোষারোপ করে আসে। পাশাপাশি বিরোধীদের অভিযোগ, প্রান্তিক সম্প্রদায়কে প্ররোচিত করে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে সুসংহত করার কাজ করে বিজেপি। যদিও শাসক দল দাবি করে যে তারা জনহিতে নীতি প্রণয়ন করে যা সমস্ত সম্প্রদায়ের ভালোর জন্য করা হয়। সেই দাবি এবার খাতায় কলমে প্রমাণ করতেই মোদী দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।