প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনা কমেছে। সংসদে একটি প্রশ্নের জবাবে সরকার এই উত্তর দেয়। কেন্দ্রীয় রাজ্য মন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় সংসদে বলেন, ২০১৮ এর তুলনায় ২০১৯ এর প্রথম ছয় মাসে অনুপ্রবেশের ঘটনা ৪৩ শতাংশ কমেছে।
নিত্যানন্দ রায় বলেন, সেনাদের একান্ত প্রচেষ্টায় জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে। সেখানে গত বছরের তুলনায় এবছরের জুন মাস পর্যন্ত অনুপ্রবেশের ঘটনা ৪৩ শতাংশ কমেছে। উনি সংসদে বলেন, জঙ্গি কার্যকলাপ ২৮ শতাংশ কমেছে। জঙ্গি সংগঠনে স্থানীয় মানুষের ভর্তির ঘটনা ৪০ শতাংশ কমেছে। আর জঙ্গি সাফাই অভিযান ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে ৯৭ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৬ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে জঙ্গিদের ২৯ টি গোপন ডেরার খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ২০১৬ সালে ১৫০, ২০১৭ সালে ২১৩, ২০১৮ সালে ২৫৭ এবং ২০১৯ এর এখনো পর্যন্ত ১১৩ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। সরকার ভারত – পাকিস্তানের ২০৬৯ কিমি এরিয়ার মধ্যে প্রায় ২০০৫ কিমি এরিয়াতে কাঁটা তারের বেড়া লাগিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা নিয়ে এর আগেই মোদী সরকার পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদী সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে। গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুলোতে ভারতীয় সেনার এয়ার স্ট্রাইকের পর কোন আম পাকিস্তানি জনতা মারা যায়নি।
লোকসভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, মোদী সরকার জঙ্গিদের সাথে মোকাবিলা করার নীতি বদলেছে। আর পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মূল ঘাঁটিতে হামলা করছে। অমিত শাহ বলেন, পাকিস্তানের জন্য সন্ত্রাসবাদের জন্ম হচ্ছে। আমরা ওদের ঘরে ঢুকে ওদের জঙ্গিদের মেরে এসেছি।