নরেন মোদী (Narendra Modi) পুনরায় আগের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। আর ক্ষমতায় ফিরে এসেই দুর্নীতির গোড়ায় প্রহার শুরু করে দিয়েছেন।
নির্মলা সীতারমন অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরই মন্ত্রাণালয় কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। সোমবার সরকার ১২টি বরিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলপূর্বক অবসর গ্রহণ (compulsary retirement) করানো হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল এন্ড এডমিনিসট্রেটিভ রিফর্মস এর নিয়ম ৫৬ অনুযায়ী নির্নয় নিয়ে মন্ত্রাণালয় এই কাজটিকে সম্পন্ন করেছে। এইসব কর্মকর্তাগণ ইনকাম ট্যাক্স বিভাগে চিফ কমিশনার, প্রিন্সিপাল কমিশনার ও কমিশনার অফ ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ আর বড় পদের পোস্টে ছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকের উপর দুর্নীতি, বেহিসাবি সম্পত্তি অর্জন ও যৌন শোষণ এর মত অভিযোগ ছিল।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারের দ্বারা রিটায়ার করা ১২জন কর্মকতার নাম- অশোক আগ্রাওয়াল(আইআরএস ১৯৮৫), এসকে শ্রীবাস্তব (আইআরএস ১৯৮৯), হোমি রাজবংশ (আইআরএস ১৯৮৫), বিবি রাজেন্দ্র প্রসাদ, অজয় কুমার সিং, বী অরুলাপ্পা, আলোক কুমার মিত্র, চাঁন্দর সেন ভারতী, অঙ্গডাসু রবীন্দ্র, বিবেক বাত্রা, সোনাভ সুমন ও রাম কুমার ভারগভ। আমলাতন্ত্রকে স্বচ্ছ করার চেষ্টা মাফিক এটি করা হয়েছে। মন্ত্রাণালয়ের আগামী কিছু মাসের মধ্যে এরকম আরো অনেক দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা দের রিটায়ার করার পরিকল্পনা আছে। যার কারণে শীর্ষস্তরে কাজকর্ম গতি ধীরে হচ্ছে বা ঠিক করে হচ্ছে না বললেই চলে তাদেরকে অপসারণ করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী এমন কর্মকর্তাদের রিটায়ার করা যেতে পারে, যাদের বয়স ৫০-৫৫ বছর হয়ে গেছে বা যারা ৩০ বছর হয়ে গেছে কাজ করছে। যদিও এই নিয়মটি অনেক দশক ধরে আছে কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার এটির প্রয়োগ করে একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন। সরকার খারাপ পারফরম্যান্স যাদের তাদের একটি লিস্ট বার করেছে, যাতে এই ধরণের কর্মকর্তাদের রিটায়ারমেন্ট দিতে পারে। মিডিয়া রিপোর্টসে বলা হচ্ছে যে এতে রোজগারের সুযোগও বাড়বে কারণ পদ খালি হলে খালি জায়গা পূরণ করার জন্য নতুন আধিকারিকের প্রয়োজন পড়বে।