ফের পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই বঙ্গে পা রাখবেন তিনি। ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফ থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে সারা দিয়েই তিনি আবারও রাজ্যে আসছেন।
তবে এই সফরে ওনার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই বলেই বিজেপি সুত্রের খবর। ইন্ডিয়ান অয়েলের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তৃণমূলের তরুণ এই সাংসদ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কোনও সমস্যা নেই।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরের ঠিক এক দিন আগে ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি মালদহ থেকে বিজেপিত রথযাত্রার সূচনা করবেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ ও ৭ তারিখ পরপর দুদিন রাজ্যে উপস্থিত থাকছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। গত পরশু দিল্লীতে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে ঘটে যাওয়া অঘটনের ফলে ওনার বঙ্গ সফর বাতিল হয়। গতকাল বনগাঁর ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মধ্যে থেকে একটি সভা করার কথা ছিল ওনার। কিন্তু সেই সভা বাতিল হয়ে যায়।
অমিত শাহের সভা বাতিল হওয়ার ফলে মতুয়াদের মধ্যে হতাশা আর ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এরপর অমিত শাহ নিজে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করে আশ্বস্ত করেন যে তিনি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই আসবেন সেখানে। আর অমিত শাহ ঠাকুরনগরের মঞ্চ খুলতেও বারন করে দেন।
উল্লেখ্য, এর আগে শেষবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২৩ জানুয়ারি রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন তিনি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আর এবার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় তিনি আবারও রাজ্যে আসতে চলেছেন। তবে সেবারও যেমন অরাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল, এবারও উনি অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই আসছেন।