প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দিল্লী পুলিশে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতিতে যারা অভিযুক্ত তাঁদের প্রকাশ্যে আনা হবে। শুধু দুর্নীতিই না, সরকার আধিকারিক এবং কর্মচারীদের ক্লাস নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যারা কোনরকম ভাবে তাঁদের কাজে ঢিল দিয়েছে, এবার তাঁদের মাথায় বাজ পড়তে চলেছে।
গত বছর দিল্লী পুলিশের ৩৮৭ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, অভিযোগের পর তদন্ত করা হলে, তাঁরা দোষী প্রমাণিত হয়েছিল। দোষী পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজন ডিসিপি, একজন এসপি, আর ২৫ জন ইন্সপেক্টরের নাম ছিল। বর্তমান সময়ে প্রায় ১৮০০ কর্মীর উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রের মোদী সরকার সমস্ত বিভাগে দুর্নীতি আর কাজ ঠিক মতো না করা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপে এখনো পর্যন্ত এক ডজনের উপরে আধিকারিকদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং প্রতিটি মন্ত্রালয় দ্বারা নজরদারি চালিয়ে একটি স্পেশ্যাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
আর সেই ক্রমেই এবার দিল্লী পুলিশের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং কাজে ঢিল দেওয়া অফিসারদের মাথায় বাজ পড়তে চলেছে। নজরদারি চালিয়ে এটা জানা হচ্ছে যে, অফিসার এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কেমন অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযুক্ত অফিসার এবং কর্মচারীদের আলাদা করে তালিকা বানানো হচ্ছে। এদের মধ্যে দেখা হবে যে, দুর্নীতিতে কোন কোন অফিসার অভিযুক্ত। এরপর কাজে ঢিল দেওয়া আধিকারিকদের নম্বর আসবে।
প্রথম থেকে কোন কর্মীদের উপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে, তাঁদের আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। কোন কোন কর্মচারীকে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে, আর তাঁরা ওয়ার্নিং পাওয়ার পর কেমন কাজ করছে, সেটাও দেখা হবে। একই যায়গায় অনেকদিন ধরে পোস্টিং এ থাকা আধিকারিকদের উপরেও নজর রাখা হবে।
আধিকারিকরা জানান, প্রথম দফায় এসপি এর নীচের র্যাঙ্কে থাকা কর্মীদের রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এবং আইপিএস অফিসারদের উপরে থাকা অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে।