অবশেষে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল: ধর্ষিতার বাবা

সপ্তাহ খানেক আগেই ঘটেছে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ২৬ বছরের তরতাজা তরুণীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে পুড়িয় দেওয়া হয়েছে। কী শাস্তি হবে অভিযুক্তদের? আওয়াজ উঠেছে অনেক। কেউ বলেছেন, ফাঁসি। কেউ বলেছেন, গণপটুনিতে শেষ করে দেওয়া হোক ওদের। শুক্রবার সকালেই সেই ধর্ষকদের মৃত্যুর খবর।

ভোররাতে সেই অভিশপ্ত হাইওয়েতেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চার অভিযুক্তের। পুলিশ জানিয়েছে, তারা পালানোর চেষ্টা করছিল। তখনই তাদের গুলি করা হয়। ঠিক হয়েছে ভোর ৩টে থেকে ৬ টার মধ্যে? সেই প্রশ্নের উত্তর আসবে সময়েই। তবে যে পরিবার গত কয়েকদিন ধরে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে, একটু স্বস্তি মিলেছে তাদের।

পশু চিকিৎসক সেই তরুণীর বাবা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, অবশেষে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। তেলেঙ্গানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তরুণীর বোন বলেন, ‘একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

পুলিশ ঠিক করেছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। তবে সাধারণ মানুষ মনে করছেন সুবিচার পেয়েছেন তেলেঙ্গানার ওই তরুণী।

এই প্রসঙ্গে নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেছেন, ‘পুলিশ যা করেছে ঠিক করেছে। দয়া করে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবেন না।

এদিন তিনি বলেন, সরকারের আজ দেখা উচিৎ হায়দরাবাদ পুলিশ কীভাবে নজির গড়েছে। এই শাস্তিতে অত্যন্ত খুশি তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত সাত বছর ধরে বলে আসছি, ধর্ষকদের শাস্তি দিন। প্রয়োজন হলে নিয়ম ভেঙে শাস্তি দিন। আজ অন্তত কারও মেয়ে সুবিচার পেয়েছে।’

শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েচে চার অভিযুক্তের। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। ওই পথেই পালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা।

শাদনগরের যে রাস্তায় ওই চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। চারজনই পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য তাদের ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখনই তারা পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.