জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ অপসারণের পর বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা মরাকান্না কাঁদতে শুরু করে দিয়েছেন। ভারত বিরোধী মিডিয়াগুলোও মুসলিমদের উস্কানি দিতে উপদ্রব শুরু করেছে। বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা দাবি করেছে যে কাশ্মীরকে জেল খানায় পরিণত করা হয়েছে তথা মুসলিমদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। তবে নিরপেক্ষ চশমায় ঘটনাটিকে দেখছেন তারা অন্য কথা বলছেন। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ অপসারণের পর সুফী প্রতিনিধিমন্ডল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পৌঁছেছিল। এখন তারা এসম্পর্কে বড়ো বিবৃতি দিয়েছেন।
সুফি প্রতিনিধি দলের সদস্য নাসিরউদ্দিন চিশতী বলেছেন, উপত্যকায় কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে আসেনি। প্রতিনিধি দলটি জম্মু-কাশ্মীরে স্থানীয় অনেক লোকের সাথে মতবিনিময় করেছিল এবং তথ্যও নিয়েছিল, কিন্তু তারা সবাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। জানিয়ে দি, অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশি কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল আজমির শরীফ দরগার নাসিরউদ্দিন চিশতির নেতৃত্বে তিন দিনের সফরে ছিলেন।
উনি বলেন যে উপত্যকা নিয়ে পাকিস্তান মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে। তিনি জিহাদের পক্ষে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে লজ্জাজনক বলেছেন। একই সাথে ইমরান খানকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, পাকিস্তান আগ্রহী হলে তার উচিত চীন ও ফিলিস্তিনে লড়াই করা। তিনি বলেছিলেন যে ভারত মুসলমানদের পক্ষে সেরা দেশ। পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর যে কাজ করছে সেটাকে পর্দাফাঁস করেন নাসিরউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, মুসলিমদের উস্কানি দিয়ে ভারতের ক্ষতি করার নীতি আগেও বামপন্থীরা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে এসেছে। ইংরেজরা ভারতকে টুকরো টুকরো করার জন্য হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের উস্কানি দিয়েছিল। সেই সময় বামপন্থীরা ভারত ভাগকে সমর্থন করেছিল। একইসাথে বামপন্থীরা পুরো বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। অর্থৎ পশ্চিমবঙ্গকেও পূর্ব পাকিস্তানে সামিল করতে চেয়েছিল। যদিও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের গঠন সম্ভব হয়েছিল।