‘খুন কোনওভাবে যেন আত্মহত্যা না হয়ে যায়’, সন্দেশখালির ঘটনায় বললেন রাজ্যপাল

সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ রবিবার একবালপুরে মাড়োয়ারি মহিলা সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বললেন, “নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। যাতে খুন কোনওভাবে আত্মহত্যা না হয়ে যায়। সত্য সামনে আসুক।”

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সন্দেশখালি থানা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে খুলনা গ্রামে গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। সেখানে বিদ্যাধরী নদীর পাশে রজনীঘাট বৌঠাকুরানির মাঠ এলাকায় পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন তিন জন। বিশ্বজিৎ মাইতি নামে এক ভিলেজ পুলিশের আঘাত ছিল গুরুতর। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়৷ এখনও বাকি দুজন চিকিৎসাধীন৷ সংঘর্ষের ঘটনায় আপাতত দুজন, লাল্টু সর্দার ও কেদার সর্দার ধরা পড়েছে।

এব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “দুষ্কৃতীরা যে দলেরই হোক, পুলিশকে বলেছি, কড়া ব্যবস্থা নিতে।” মূল অভিযুক্ত কেদারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র দাবি, এক সময়ে সিপিএমের ছত্রচ্ছায়ায় ছিল, পরে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হয়। যদিও কেদারের স্ত্রী শিবানী তো তৃণমূলের টিকিটেই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জিতেছেন৷

এ বার ছটপুজোয় কোনও জলাশয়কেই নষ্ট করা যাবে না বলে জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয় যাতে ছটে ব্যবহার করা না যায়, সে জন্য এর চারদিকের সব ক’টি দরজা তালাবন্ধও ছিল। কিন্তু সরোবরের একের পর এক গেটের তালা ভেঙে কাতারে কাতারে মানুষ ভিতরে প্রবেশ করেন। শুধু তাই নয়, মই বেয়ে জলে নেমে শুরু হয় পুজোপাঠ। ফুল, মালা ভাসানোর সঙ্গেই দেদার ফাটে শব্দবাজি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে৷

এই প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যপাল জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, “আদালতের নির্দেশ মানা উচিত। রাজ্যপাল হওয়ায় সংবিধান রক্ষা করা আমার কাজ। নির্দেশ অমান্য হলে সেটা খুবই দুঃখজনক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.