মুকুল রায় বুঝতে পেরেছে সে কি ভুলটা করেছে।
শুধু মুকুল রায় নয় যার রাজনীতিতে উচ্চাশা আছে বিজেপি ছাড়া তাদের কাছে মস্ত ব্লান্ডার।
বিজেপি কেন্দ্রে হয়ত সব সময় ক্ষমতায় না থাকতেও পারে। কিন্তু বিজেপি ভারতের প্রধান দল হিসাবে আগামী ৫০বছর থাকবে।
একটা রাজ্যের নির্বাচনের পরই যারা সাময়িক লাভে দল ছেড়েছে ভবিষ্যতে তাদের পস্তাতেই হবে। কারন কংগ্রেস বা কংগ্রেস ভেঙে যে আঞ্চলিক দলগুলো তৈরি হয়েছে তাদের প্রথম দ্বিতীয় সহ সমস্ত শীর্ষ পদগুলো পরিবারের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে। তাই আঞ্চলিক দলে গিয়ে কোনো উচ্চাকাঙ্খী নেতা একটা নির্দিষ্ট উচ্চতাই উঠতে পারে। তারপর আর না। উত্তর প্রদেশের অমর সিং তার উদাহরণ। আমাদের পশ্চিম বাংলার সুব্রত মুখার্জী। ছোটবেলা থেকে ওনার নাম শুনে এসেছি। কংগ্রেস যখন বিরোধী তখন কংগ্রেসের প্রথম তিনজনের মধ্যে একজন থেকেও আজ একটা সামান্য রাজ্যের মন্ত্রী ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনি।
বিজেপিতে কিন্তু পারফর্ম করলে দলের একদম শীর্ষে পৌছানো যায়। এর উদাহরণ অনেক আছে। নিজে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দেখুন, দেখবেন ১০ বছর আগে তার নামই শুনতে পান নি, তারাই আজ দলের শীর্ষে রয়েছে। যেমন জেপি নাড্ডাজি।
তাই যার নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা আছে সেই সব নেতাদের কাছে রাজনীতি করার জন্য বিজেপি হচ্ছে এই মুহূর্তে আদর্শ দল।
তাছাড়া সর্ব্বভারতীয় দল করলে আরো অনেক সু্যোগ পাওয়া যায়।
বামেদের ক্ষেত্রেও আংশিক ভাবে এটা প্রযোজ্য, তাদের নেতাও বংশানুক্রমিক ভাবে হয় না। কিন্তু তাদের অন্য অনেক ফ্যাচাং আছে তাই আংশিক ভাবে লিখলাম। তাছাড়া বামেরা বর্তমানে একদম ক্ষয়িষ্ণু শক্তি।
এটা মুকুল রায়ের কোনো চাল নয়। একমাত্র যারা মনস্তত্ব বিদ তারাই এটা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
মানুষ অনেক সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কাজ করে বা করতে #বাধ্য হয়। মনে হয় মুকুল রায়কেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হচ্ছে।
এইরকম ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করলে মনের মধ্যের যে ইচ্ছা বা বাসনা সেই আসল কথা গুলো অবচেতন মুহুর্তে বেরিয়ে আসে।
আবার যে কোনো প্রকার মানসিক চাপে এইরকম মনের এইরকম অবচেতন অবস্থার সৃষ্টি হয়।