লকডাউন-কারফিউ ভাঙায় বাধা দিয়েছিলেন তিনি। শুধুমাত্র এই কারণেই তলোয়ারের কোপে পঞ্জাব পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) হরজিৎ সিংয়ের হাত কেটে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গত ১২ এপ্রিল ওই ঘটনা ঘটেছিল পঞ্জাবের (Punjab) পটিয়ালায় (Patiala) সব্জি মান্ডিতে, রোমহর্ষক ওই ঘটনায় শিহরিত হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল, চন্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর হাসপাতালে চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল নিযুক্ত করা হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) হরজিৎ সিংয়ের (Harjit Singh) ছেলেকে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) হরজিৎ সিংয়ের চিকিৎসা করেছেন প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ সুনীল গাবা (Dr. Sunil Gaba)। তিনি জানিয়েছেন, এএসআই এখন সুস্থ আছেন। তাঁকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। অপর একটি হাতের সাহায্যে কেটে যাওয়া হাতটি তিনি ধীরে ধীরে নড়াচড়া করতে পারবেন। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে। এএসআই হরজিৎ সিংয়ের (Harjit Singh) ছেলে অর্শপ্রীত সিংকে পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে এসে ডিজিপি দিনকর গুপ্তা (Dinkar Gupta) নিজে হরজিতের হাতে ছেলের নিয়োগপত্র তুলে দেন। গুপ্তা জানিয়েছেন, হরজিৎ সিংয়ের বিশ্বাস তাঁর ছেলে সাহসিকতার সঙ্গেই পঞ্জাবের জনগণের সেবা করবেন।
গত ১২ এপ্রিল পটিয়ালার সব্জি মান্ডিতে গার্ড রেল দিয়ে ঘিরছিল পুলিশ। ঠিক সেই সময়েই একটি গাড়ি গার্ড রেলকে ধাক্কা মেরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, পুলিশকর্মীরা যখন ওই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করছেন ঠিক সেই সময়েই হরজিৎ সিংহের দিকে তলোয়ার উঁচিয়ে তেড়ে আসে এক ব্যক্তি। হরজিৎ আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। সরাসরি তাঁর হাতে কোপ বসায় ওই দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন হরজিৎ। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে হাতের ক্ষত রুমাল দিয়ে ঢাকার চেষ্টাও করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।