এমএসপি ছিল, আছে ও থাকবে, রাজ্যসভায় আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

কৃষকদের আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নিজের জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান এমএসপি ছিল, এমএসপি আছে ও এমএসপি থাকবে। কৃষকদের এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই।

ভবিষত্যেও এমএসপি তুলে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্র সরকারের নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, নূন্যতম মূল্যে রেশন তুলে দেওয়া হবে গরীবদের হাতে। মান্ডিগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তাই কৃষকদের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কেন্দ্র কৃষকদের পাশেই রয়েছে।

করোনাকালেও এবার ফের ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, ‘‘দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে রেকর্ড। শুধু কৃষি আন্দোলন নিয়ে কথা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণ আত্মনির্ভর ভারতের আশা জাগায়। রাষ্ট্রপতির ভাষণ বিরোধীরা বয়কট করেছে।’’

নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদ নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মোদী । তিনি এদিন বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলছেন বিরোধীরা। কিন্তু কৃষিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছেন না। দেশে ৩৩ শতাংশ কৃষকের ২ বিঘেরও কম জমি। ১৮ শতাংশ কৃষকের ২-৪ বিঘা জমি।

সারা দেশে ছোট কৃষকের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। ৮৬ শতাংশ কৃষকের জমি ২ হেক্টরেরও কম। ক্ষুদ্র কৃষক ঋণ মকুবের সুযোগ পান না। কারণ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। বিমার সুবিধাও ছোট কৃষকরা পান না। এমন কৃষকের সংখ্যা দেশে ১২ কোটি। সেচের সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকদের ভাগ্যে নেই। ২০১৪ সালের পর ফসল বিমার আওতায় এসেছেন ক্ষুদ্র কৃষকরা।’’

উল্লেখ্য, মিনিমাম সেলিং প্রাইস বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। এই বিল পাশ করানোর ফলে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে রীতিমত কোণঠাসা করেছে বিরোধীরা। তবে কেন্দ্রের আশ্বাস এই বিল কৃষক স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখবে। এবার জেনে নেওয়া ভালো এমএসপি আসলে ঠিক কি। মিনিমাম সেলিং প্রাইস বা নূন্যনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে কোনও উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পান কৃষকরা।

কেন্দ্রের এই তিনটি কৃষি বিল সেই নির্ধারিত নূন্যতম মূল্যেই বাধা দিচ্ছে। এরই পাশাপাশি, কেন্দ্রের এই নয়া কৃষি বিল অত্যবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে এমন কিছু দ্রব্যকে বাদ দিয়েছে, যা নিয়ে রীতিমত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। চাল, ডাল, পেঁয়াজের মত একাধিক পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি কৃষকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.