ধর্ষক-খুনিদের জ্য়ান্ত পুড়িয়ে মারা হোক, চাইছেন হায়দরাবাদের মৃতার মা

হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের করে খুনের ঘটনায় ফুঁসছে সারা দেশ। সবার একটাই দাবি। অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক দোষীদের। কিন্তু নির্যাতিতার মা চাইছেন দোষীদেরও একই ভাবে পুড়িয়ে মারা হোক।

হায়দরাবাদ কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মেয়ের খোঁজ নিয়ে ডায়েরি করতে গিয়ে এ থানা থেকে ও থানা করতে হয়েছে তরুণীর বাবা-মাকে। কোনও সহযোগিতা পাননি। এক সর্বভরাতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মৃতার বাবা জানান, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেয়ের ফোন বন্ধ দেখে প্রথমে ভাবি ফোনের চার্জ হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে চিন্তা হতে শুরু করে। টোল প্লাজায় খুঁজে না পেয়ে থানায় যাই। দুটি থানার কনস্টেবলই ডায়েরি নিতে চায়নি। তার পরে আবার নিজেই খোঁজা শুরু করি। টানা ৫ ঘণ্টা পরে রিপোর্ট নেয় পুলিশ।

কিন্তু ওই টোল প্লাজা জাতীয় সড়কের কাছে আন্ডারপাসের কাছে পুলিশের রোজ রাত ৯টার পরে টহল দেওয়ার কথা। তা হলে কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল,এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

যদিও ইতিমধ্যে চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের যাতে মৃত্যুদণ্ড দিতে দেরি না হয় সে বিষয়ও সরব হয়েছে মানুষ। মৃতা পশুচিকিৎসকের মা জানিয়েছেন, তিনি চান মেয়েদের ধর্ষক-খুনিদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হোক।

এদিকে দিল্লি, কলকাতা থেকে শুরু করে হায়দরাবাদ সর্বত্রই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জনতা এও দাবি করে, অপরাধীদের তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। তাই কোনও মতে বহু নিরাপত্তার মধ্যে খুনিদের হায়দরাবাদ জেলে নিয়ে আসে পুলিশ। জেলের বাইরেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.