বাংলায় ১ লক্ষ ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনামুক্ত হয়েছেন৷ যা মোট সংক্রমিতের নিরিখে ৮০ শতাংশেরও বেশি৷ প্রতিদিনই কমছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা৷ একদিনে ৪২ হাজারের বেশি টেস্ট৷ শুক্রবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্ত ২,৯৮২ জন৷ বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ২,৯৯৭ জন৷ তবে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৪ জন৷
গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের৷ বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা ছিল ৫৩৷ এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ তথ্য অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা ৩,০৭৩ জন৷
যে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১১ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১৪ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩ জন৷ হাওড়া ৪ জন৷ হুগলি ২ জন৷ পশ্চিম বর্ধমান ১ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ৩ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ১ জন৷ বাকুড়া ৩ জন৷ বীরভূম ২ জন৷ নদিয়া ২ জন৷ মুর্শিদাবাদ ২ জন৷ মালদা ২ জন৷ দক্ষিণ দিনাজপুর ১ জন৷ জলপাইগুড়ি ২ জন৷ দার্জিলিং ৩ জন৷
যদিও একদিনে ফের কমেছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা৷ গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬০ জন কমে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৬ হাজার ৩৪৯ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ২৬ হাজার ৭০৯ জন৷
একদিনেই ৪২ হাজার ১২১ টি টেস্ট হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৪২ হাজার ৪৭৪ টি টেস্ট৷ এটাই ছিল একদিনে রাজ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট৷ এই পর্যন্ত টেস্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭২৮ টি৷ প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯,৫৪১ জন৷
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৩,২৮৬ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৩,১৮৯ জন৷ তবে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৩২ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ১ লক্ষ ২১ হাজার ০৪৬ জন৷ সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়ে হল ৮০.৮৬ শতাংশ৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৮০.২৮ শতাংশ৷ বুধবার ছিল ৭৯.৭৫ শতাংশ৷ অর্থাৎ প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার৷
এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৭০টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ২ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷ বাংলায় ৮৭ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷
এর মধ্যে সরকারি ৩২ টি হাসপাতাল ও ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷ হাসপাতালগুলিতে মোট কোভিড বেড রয়েছে ১২,০৪৫ টি৷ আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১,২৪৩টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৭৯০টি৷ কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি৷