ত্রয়োদশ শতকে সন্ত জ্ঞানদেব শিশুদের খেলার মাধ্যমে ধার্মিক ও নৈতিক শিক্ষার জন্য “মোক্ষ পতম” নামক একটি খেলা তৈরী করেছিলেন। পরবর্তীকালে ব্রিটিশরা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে এই খেলাকেই পরিবর্তিত করে সাপ-সিঁড়ির লুডো তৈরী করে।

মূল খেলা যেটা ১০০টা ঘরের ছিল তাতে ১২ তম ঘর ছিল আস্থা, ৫১ তম ঘর ছিল নির্ভরযোগ্যতা, ৫৭ তম ঘর ছিল উদারতা, ৭৬ তম ঘর ছিল জ্ঞান এবং ৭৮ তম ঘর ছিল তপশ্চর্যা। এই ঘরগুলোতেই সিঁড়ি পাওয়া যেত যা দ্রুত উপরের ঘরে নিয়ে যেত। ৪১ তম ঘর ছিল অবাধ্যতা, ৪৪ তম ঘর ছিল অহংকার, ৪৯ তম ঘর ছিল অশ্লীলতা বা অভদ্রতা, ৫২ তম ঘর ছিল চৌর্যবৃত্তি, ৫৮ তম ঘর ছিল মিথ্যাচার, ৬২ তম ঘর ছিল নেশাগ্রস্ততা, ৬৯ তম ঘর ছিল ঋণ, ৮৪ তম ঘর ছিল ক্রোধ, ৯২ তম ঘর ছিল লোভ, ৯৫ তম ঘর ছিল গর্ব, ৭৩ তম ঘর ছিল হত্যা এবং ৯৯ তম ঘর ছিল মোহ। এই ঘরগুলোতেই সাপেরা মুখ খুলে থাকবে। ১০০ তম ঘর ছিল নির্বাণ বা মোক্ষের। প্রতিটা সিঁড়ির মাথায় একজন দেবতা বা কৈলাস, বৈকুণ্ঠ বা ব্রহ্মলোকের ছবি থাকত। খেলার মাধ্যমেই শিশুদের মধ্যে সৎগুণের বিকাশ ও অসৎগুণ বর্জন করার উদ্দেশ্য নিয়েছিলেন জ্ঞানদেব।

লিখেছেন: শ্রী দিব্যেন্দু দালাল।

শ্রী রাজা দেবনাথ এর ওয়াল থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.