ফ্রান্সের রাজনীতিতে অকটি অলিখিত রীতি রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে যেই নেতা ফরাসি প্রেসিডেন্ট হন, তিনি আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে সর্বপ্রথম জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে দেখা করেন। তবে ২০২২ সালে সেই রীতি ভাঙছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউরোপে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরকালেই তিনি প্যারিসে যাবেন কিছুক্ষণের জন্য। ‘বন্ধু’ ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করতেই নমোর এই ঝটিকা সফর। পুননির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে মোদীর সঙ্গেই দেখা করতে চলেছেন ম্যাক্রোঁ।
উল্লেখ্য, এর আগে ফ্রাসোঁয়া ওলাদঁ যখন ২০১২ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি জার্মানি উড়ে গিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে দেখা করতে। ম্যাক্রোঁ নিজে যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তিনিও সেই একই কাজ করেছিলেন। তবে এবার তিনি সবার আগে মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, ফ্রান্স ও জার্মানি নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্পর্ক দৃড় করতেই রাষ্ট্রপ্রধানদের দেখা করার এই রীতি।জার্মানির সঙ্গে ফরাসি সম্পর্ক এখনও পোক্ত আছে। কিন্তু মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। মোদীর এই সফর তারই নিদর্শন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ইন্দো-নর্ডিক সম্মেলনে যোগ দিতে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন যাওয়ার আগে গতকাল জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। এদিকে আজ ও আগামিকাল ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় ইন্দো-নর্ডিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই সম্মেলনে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনের ফাঁকে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এরপর ঝটিকা সফরে প্যারিসেও যাবেন মোদী। সেখানে দেখা করবেন বন্ধু ম্যাক্রোঁর সঙ্গে।