সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বমঞ্চে একাধিকবার সরব হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সন্ত্রাসবাদে ভুক্তভোগী উপমহাদেশের আরও তিন দেশের উদ্বেগের কোথাও তুলে ধরলেন তিনি। আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশও যে সন্ত্রাসবাদের কাঁটায় দীর্ণ, তা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন মোদী। যা থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা সন্ত্রাসবাদের আঙিনায় পসক বিরোধী জোটের বার্তা দেখতে পেয়েছেন।
সাফ কথা, সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নেরই, সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মঞ্চে একঘরে হয়ে পড়া পাকিস্তানের অস্বস্তি চরমে পৌঁছে দিলেন মোদী। স্বাধীনতা দিবসে মোদীর বক্তব্যে, পাকিস্তানের জন্য যে কিছু ছিল না তেমন নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা সন্ত্রাসবাদকে সাহায্য এবং রক্ষা করে তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাও সন্ত্রাসবাদের ভুক্তভোগী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধ্যে লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে এক হতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই মোদীর এই ভাষণের পর ঘরের মাঠেই পালানোর পথ নেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। সন্ত্রাসবাদের আবহে পাকিস্তান সারা বিশ্বেই একঘরে। সেদেশের নিম্নগামী অর্থনীতি চলে আইএমএফের দয়া দক্ষিণ্যে। Terror Funding বা সন্ত্রাসবাদকে অর্থ সাহায্যের অভিযোগে পাক সরকার ইতিমধ্যেই এফটিএফ-এর কুনজর রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সন্ত্রাসী জাইস-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার এখন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে।
মান বাঁচাতে অন্য এক সন্ত্রাসী লস্কর-ই-তৈবার মাথা হাফিজ সাঈদকে ঘরেই লোক দেখানো গ্রেফতার করে রেখেছে পাকিস্তান। তবুও নিজেরও মাথার উপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা মুছে নি পাকিস্তানের। বেআইনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের তথাকথিত ‘আইনসভা’য় দাঁড়িয়ে বুধবার ‘তালিবান খান’ ( ইমরানের বিরোধীরা তাকে এই নামেই ডাকেন) ইমরান বলেছিলেন, ভারত নাকি অধিকৃত কাশ্মীর আক্রমণ করবে।
পাক সেনা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। ইমরানের আজগুবি কথাবার্তা এখানেই শেষ হয়নি। তিনি বলেছেন, ভারত যে অধিকৃত কাশ্মীর আক্রমণ করবে সে খবর পাক সেনারা কাছে রয়েছে। ইমরানোচিত এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করার বিশেষ দরকার পড়ে না। কারণ সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তানে সামরিক শাসন চলছে। ‘শিখন্ডি’ সারা বিশ্বের দরবারে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইমরান।