প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাত দিনের সফরে আমেরিকা গেছেন। সেখানে তিনি রবিবার হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীর হাউডি মোদী অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল ব্যাপক উদ্দীপনা। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য আগে থেকেই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এনআরজি স্টেডিয়ামে ৫০ হাজারের বেশি দর্শক ধরার ক্ষমতা না থাকার কারণে অনেক মানুষ নিরাশ হয়েছেন। তবুও তাঁরা নরেন্দ্র মোদীকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তার ধারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর এই অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্বের উন্নত দেশ আমেরিকাতেও বিশাল জ্যাম লেগে যায়।
হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে নিজের বক্তব্য রাখার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা সভায় যোগ দেওয়ার জন্য নিউ ইউর্কে যান। সেখানে তিনি বলেন, আমরা ভারতীয়রা জলবায়ু পরিবর্তনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে অনেক কাজ করেছি। এবার গোটা বিশ্বের পালা। এবার আর মুখ বুজে বসে থাকলে হবেনা। এবার কাজ করতে হবে।
নিউ ইউর্ক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাকিস্তান সমেত চীনকেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আক্রমণ করেন। নাম না নিয়ে তিনি চীনকে আক্রমণ করে বলেন। আপনারা জঙ্গিদের টাকা দেওয়া আর তাঁদের হাতিয়ার দেওয়া বন্ধ করুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গোটা বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের সাথে মোকাবিলা করার জন্য একজোট হতে বলেন।
এরপর তিনি জাতি সঙ্ঘের প্রধান অফিসে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার জন্য পৌঁছান। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ফাদার অফ ইন্ডিয়া” (Father of India) বলে সন্মানিত করেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে আছে, এর আগে ভারত একত্রিত ছিলনা। সেখানে অনেক সমস্য ছিল, চারিদিকে হিংসা আর অশান্তি ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে সবাইকে এক করার চেষ্টা করেন। তিনি ফাদার অফ ইন্ডিয়া। আমার পাশে বসে থাকা এই মানুষটাকে সবাই খুব ভালোবাসে। তিনি আমেরিকার এলভিস এর মতো।”