তিনদিনের সফরে সংযুক্ত আমিরশাহীতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে আমিরশাহীর সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ জায়েদ’। রবিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে মোদীর এই সফরের কথা জানানো হয়েছে। অগাস্টেই মোদীর জন্য এই বিশেষ সম্মানের কথা ঘোষণা করেছিল আমিরশাহী। আগামী ২৩ অগস্ট রওনা হবেন মোদী।
দীর্ঘদিন ধরে আরব আমিরশাহীর সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখার জন্যই দেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ সম্মান। মোদীকে এই সম্মান প্রদান প্রসঙ্গে আরব আমিরশাহীর যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহয়ান জানিয়েছিলেন, দুই দেশের সম্পর্কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
তাঁর কথায়, ভারত ও আরব আমিরশাহীর মধ্যে যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ছিল, তাকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন মোদী। আগামিদিনে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়, সেই ক্ষেত্রেও মোদী কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন যুবরাজ। ২০১৮ তে এই মেডাল দেওয়া হয়েছিল চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং-কে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অন্যতম স্রষ্টা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহয়ানের নামে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। তাঁর জন্মশতবর্ষে পুরষ্কারটি দেওয়া হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে।
তিনদিনের এই সফরে, আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে হবে আলোচনা। উল্লেখ্য, ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ট্রেড পার্টনার। ভারতকে যেসব দেশ তেল দেয়, তাদের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম এই আমিরশাহী। মোদীর সফরে আগামিদিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও পোক্ত হবে বলে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
আমিরশাহীর পর ভারতরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাহরাইন সফরে যাবেন মোদী। সেখানে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী শেখ খলিফা বিন সলমন আল খলিফার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও কথা হবে তাঁদের। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাহরাইনের সম্পর্ক বহু পুরনো। দুই দেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছাড়াও সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য ২০১৮-১৯-এ ১.৩ বিলিয়নে পৌঁছেছে।