প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে NDA দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর কেন্দ্র সরকার দুর্নীতিগ্রস্থ আধিকারিকদের উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনার মুডে আছে। সরকারি কর্মচারী মানেই কাজে ঢিলে ঢালা, কাজে ফাঁকি, দুর্নীতি ইত্যাদি অনেক ধারণা দেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে। তাই এবার কেন্দ্র সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় অভিযান শুরু করতে চলেছে। দুর্নীতিগ্রস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে সরকার নতুন ইনিশিয়েটিভ নিয়েছে। এর অধীনে কেন্দ্র দুর্নীতিগ্রস্থ ও নেতিবাচক কর্মচারীদের বাইরের রাস্তা দেখানোর জন্য ব্যাঙ্ক, পাবলিক আন্ডারটেকিং এবং নিজের সব বিভাগের কর্মীদের পরিষেবার রেকর্ডের পর্যালোচনা করতে বলেছেন। এটির আরম্ভ ১৫ই জুলাই ২০১৯ থেকে হবে।
কিছুদিন আগেই ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টে ২৫ এর বেশি কর্মকর্তাদের বলপূর্বক অবসর করে দেওয়া হয়েছে। কর্মীক মন্ত্রাণালয় কেন্দ্র সরকারের সব বিভাগের প্রত্যেক শ্রেণীর কর্মচারীদের কাজের পর্যালোচনা যথাযথভাবে ও পুরো নিয়ন অনুযায়ী করার সাথে সাথে এটাও সুনিশ্চিত করতে বলেছে। যে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বলপূর্বক অবসর গ্রহণের কার্যে স্বেচ্ছাচারিতা যেন না হয়। এই নিয়মটি সরকারকে জনহীতে দিকে লক্ষ করে চালু করতে চলেছে।
সেই সব সরকারি কর্মচারিকে অবসর দেওয়া হবে যার কাজের ক্ষেত্রে সততা পালন করে না তথা সন্দেহজনক ও কাজের ব্যাপারে কাঁচা। এতে বলা হয়েছে যে সব মন্ত্রালয়ে বা বিভাগকে বলা হচ্ছে, যে পাবলিক আন্ডারটেকিং/ব্যাংক এবং স্বশাসিত সংস্থান সমেত নিজের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে আসা বিভাগে আসা কর্মচারীদের কাজকর্মের নিয়ম কানুন ও সঠিক চিন্তাধারা অনুযায়ী পর্যালোচনা করা হবে।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংসদের দুটি সদনের সংযুক্ত বৈঠককে উদ্দেশ্য করে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন সর্বজনীন জীবন ও সরকারি সেবা থেকে দুর্নীতিকে সরানোর অভিযান চালানো হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী কর্মীক মন্ত্রালয় জানিয়েছে যে মন্ত্রালয় বা বিভাগ গুলিকে এটি সুনিশ্চিত করা উচিত যে একটি সরকারি কর্মচারীকে জনহীতের জন্য সময়ের আগে অবসর গ্রহণ করানোর মতো নির্ধারিত পক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করবে এবং এই নির্ণয় কারোর ব্যাক্তিগত ইচ্ছামত না হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সব সরকারি সংগঠনকে প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখে নির্ধারিত বিন্যাস রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এর আরম্ভ জুলাই ১৫, ২০১৯ থেকে হবে।