কোন রাজ্যে কীভাবে টিকাকরণ সম্ভব, কোথায় কী ঘাটতি সম্ভবত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আজ মুখোমুখি হবেন নমো।
সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। মূলত আমজনতার কাছে ভ্যাকসিন কীভাবে, কত দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, এ বৈঠকে হয়তো সেদিকেই দৃষ্টি দেওয়া হবে। যদিও বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, এসংক্রান্ত কোনও তথ্য এখনও সরকারি ভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন – বার্ড ফ্লু থেকে বাঁচতে কী করণীয়, ডিম-মাংসে মানতে হবে কোন কোন নিয়ম
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ থেকেই ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। শনিবার মোদীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ ঘোষণা করা হয়।
জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার আগে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। এছাড়া ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার অর্থাৎ যারা সামনের সারিতে থেকে করোনার মোকাবিলা করছে, তাদের আগে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। এরকম অন্তত ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – ‘দুধ মাঙ্গো তো ক্ষীর দেঙ্গে, বাঁকুড়া মাঙ্গো তো চির দেঙ্গে’ হুঙ্কার মদন মিত্রের
এই কর্মীদের পর ভ্যাক্সিন পাওয়ার তালিকায় থাকবেন পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিরা ও ৫০-এর নীচে যাদের কো-মর্নিবিটি আছে তারা। এদের সংখ্যা মোট ২৭ কোটি।
ভারতে ইতিমধ্যেই এমার্জেন্সি অথরাইজেশন বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে অক্সফোর্ডের ‘কোভ্যাক্সিন’ যা ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি হয়েছে ও ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভিশিল্ড।’ ফলে এগুলি যে খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষকে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবে, এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন – ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে শোয়েব মালিকের গাড়ি, অক্ষত রয়েছেন পাক তারকা
একদিকে যখন ভারতে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে তার মধ্যে এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই আশার আলো দেখা গিয়েছে।