আর মাত্র কয়েক ঘন্টা৷ তারপরেই দিল্লির মসনদে কে বসবে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ যদিও বুথ ফেরৎ সমীক্ষাগুলি গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিতই দিয়েছে৷ তবুও সেইসব সমীক্ষাকে মেনে নিতে নারাজ বিরোধী দল৷ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই দলীয় কর্মী সমর্থকবৃন্দকে হতাশ না হওয়ার কথা বলেছেন৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ইভিএম কারচুপির সম্ভাবনার কথা বলেছেন৷ তাই বুথ ফেরৎ সমীক্ষা যাই বলুক, ভোটের জল কোনদিকে গড়াবে তা স্পষ্ট হতে এখনও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে৷
তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়ে আগে থেকেই ভবিষ্যদ্বাণী শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই৷ ভোট চলাকালীনই জনপ্রিয় জ্যোতিষী বেজান দারুওয়ালা সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছিলেন, এবার লোকসভার লড়াইটা হবে বেশ কঠিন। তবে শেষমেষ জয় ছিনিয়ে নেবেন মোদীই। যে রাহুল গান্ধীর রাশি জেমিনাই, তাই রাহুল মানুষের ভাল করবেন তিনিই, তবে তাঁর জয় কঠিন। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, চিনা অ্যাস্ট্রোলজি অনুযায়ী, রাহুল হল কুকুর আর মোদী বাঘ। তার মতে, কুকুর খুবই ভাল হয়। কিন্তু থাকে সবসময় বাঘের নীচে।
তিনি আরও জানান, মোদীর গুণ হল যে তিনি সোজাভাবে ও সৎ ভাবে চিন্তা করতে পারেন। রাহুল নেতা হিসেবে খুব ভাল হলেও তিনি মোদীর থেকে একধাপ পিছনে থাকেন। ফলে হাজারও চেষ্টা করেও রাহুল শেষ হাসি হাসতে পারছেন না।
এদিকে, দিল্লির ট্যারোট কার্ড রিডার নন্দিতা পান্ডের মতে, কার্ডও এনডিএ-র দিকেই যাচ্ছে৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, ২০১৭ থেকেই আমি বলছি যে রাহুল গান্ধী জনগণের নজরে একটু একটু আসছেন৷ কিন্তু তাঁকে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে৷ তবে শেষ হাসি এনডিএ হাসলেও, রীতিমতো কড়া বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে৷
নন্দিতা আরও জানান, ২০১৪-র মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি৷ এবং তাকে শক্তিশালী জোটের সঙ্গ নিয়েই সরকার গড়তে হবে৷ দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে সমর্থন পাবে বিজেপি, একথাও বলেন তিনি৷ নন্দিতার মতে, ২৩০টি আসন পাবে বিজেপি এবং তার জোটের প্রয়োজন হবে৷ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্টিডেট-রা সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে৷