তিন দেশ সফরের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্যারিসে পৌঁছনোর ২ ঘন্টা পরে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাঁকরের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। এরপর শুক্রবার ফ্রান্স থেকে আরব আমিরশাহী ও বাহরিন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দুই দেশে তিন দিন কাটিয়ে রবিবার পুনরায় আবার জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে ফ্রান্সে আসবেন তিনি। ভারত জি-৭ সদস্য ভুক্ত দেশ নয়। কিন্তু ফ্রান্সের আমন্ত্রণে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার সকালে প্যারিস যাওয়ার পূর্বে এই দীর্ঘ সফর নিয়ে মোদী একটি টুইট করেন। তিনি বলেন, “ফ্রান্স পৌঁছে আমি রাষ্ট্রপতি মাঁকর ও প্রধানমন্ত্রী ফিলিপের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছি। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে আমি দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া ফ্রান্সে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করব এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকের ফ্রান্সে ভারতীয় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশে একটি স্মারক উদ্বোধন করব।”
মোদীর এই তিন দেশের সফর অনেকদিন আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকমাস ধরে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্র যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে, তাতে করে মোদীর এই সফর কূটনৈতিক মহলে যথেষ্ট আলোচ্য বিষয়। কারণ কিছুদিন আগে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে কতটা স্বস্তি দিতে পারে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক মহল।
এছাড়া কাশ্মীর নিয়ে অতিরিক্ত তৎপরতা দেখাচ্ছে আমেরিকা। তাই এই বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জি-৭ বৈঠকে ট্রাম্প ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে মোদীর দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই আলোচনার সময় খুবই সংক্ষিপ্ত বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে এই সপ্তাহের শুরুতে বরিসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। ওই কথোপকথনে মোদী লন্ডনে স্থিত ভারতীয় দূতাবাসে পাকিস্তানি সমর্থকদের হামলা নিয়ে বরিসকে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ওয়াকিবহাল করেন।