জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর দুই রাজ্য অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ জুড়ে কার্ফু জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার। সময় মত তা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে উপত্যকার পরিস্থিতি। ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ। খুলতে শুরু করেছে স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে সরকারি কার্যালয়গুলি।
এর মধ্যেই উপত্যকাবাসীর যাপন আরও সহজতর করে তুলতে নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ হাজার চাকরির বন্দোবস্ত করতে চলেছে মোদী সরকার। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখেই এমনটা করা হতে চলেছে। বুধবার সন্ধেয় দিল্লির সংসদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে, জাতীয় সংবাদ সংস্থা নিউজ নেশন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী।
উপত্যকায় মোদী সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলি ফুটে উঠছিল ক্রমশ। দেশ জুড়ে বিরোধী দলগুলির অন্তত এমনটাই দাবি। গত ৫ অগস্ট সংসদে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা নিয়ে কথা উঠতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “আমি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে বলতে চাই, এই রাজ্যে ৩৭০ ধারা ও ৩৫ ধারা বিপুল পরিমাণে ক্ষতিসাধন করেছে। এই ধারাগুলির কারণে গণতন্ত্র কখনই পুরো দেশে কার্যকর হয় নি। রাজ্যে দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়নও থমকে দাঁড়িয়েছে।” এমনকী ওই রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের কাঠামো ভেঙে পড়েছে।
শাহ আরও বলেছিলেন, “আয়ুসমান ভারত প্রকল্প আছে, কিন্তু হাসপাতাল কোথায়? চিকিৎসক-নার্সরা কোথায়? যারা ৩৫এ ধারা সমর্থন করেন, তারা আমাকে বলুন কোন চিকিৎসক ওখানে গিয়ে বসবাস করতে চান? কিংবা ওখানে গিয়ে প্র্যাকটিস করবেন? নিজের জমি-বাড়ি কিনতে পারবেন? তাঁদের সন্তানরা ভোট দিতে পারবেন?”
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক স্তরে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে শুরু হবে সামরিক এবং আধাসামরিক বাহিনীতে স্থানীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিশেষত জোর দেওয়া হবে ফুড প্রসেসিং এবং ডেয়ারি ইন্ডাস্ট্রির উপরে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ থেকে প্রায় ৫০ হাজার যুবককে আধাসামরিক বাহিনীতে নিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন স্তরে এবং বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে জম্মু-কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করা যায় তার রূপরেখা তৈরি করার জন্যে। উপত্যকায় দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।’