রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পরিষদের পর্যবেক্ষণের পর উত্তরাখণ্ডের খালি হওয়া গ্রাম গুলোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। ভারত-চীন সীমান্তে থাকা এই গ্রাম গুলোতে আবারও জনবসতি বসানোর জন্য কেন্দ্রের এজেন্সি গুলো সুপারিশ করেছে। উত্তরাখণ্ড পলায়ন আয়োগ এরকম ২৫০ টি গ্রামের জন্য পরিকল্পনা বানিয়েছে, যেটি চীন সীমান্তের পাশে আছে।
উত্তরাখণ্ডের খালি হওয়া গ্রাম গুলোতে ফের জনবসতি পূর্ণ করার নতুন আশা জেগেছে। এবার এই আশা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগের পর জন্মেছে। উত্তরাখণ্ড পলায়ন আয়োগ আর রাজ্য সরকার মিলে এরকম গ্রাম গুলোকে চিহ্নিত করেছে, যেখানকার মানুষ অন্য যায়গায় পালিয়ে যাচ্ছে। যখন চীনের সীমান্তের পাশিপাশি থাকা এই গ্রাম গুলো থেকে মানুষ পলায়ন শুরু করলেন, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আর রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পরিষদ এই বিষয়টিকে গম্ভীর ভাবে নেওয়া শুরু করল। এরপরই সেসব এলাকা গুলোকে চিহ্নিত করা হল, যেগুলো চীন সীমান্তে অবস্থিত আর সেখান থেকে মানুষ লাগাতার পালিয়ে যাচ্ছে।
উত্তরাখণ্ড পলায়ন আয়োগ এর সভাপতি ডঃ এসএস নেগি বলেন, চীন সীমান্তের পাশে থাকা গ্রামের মানুষ গুলো ঘরবাড়ি ছেড়ে খুব একটা দূরে যাচ্ছেনা, তাই ওই এলাকায় আবার নতুন করে রোজগার উপলব্ধ করিয়ে মানুষ গুলোকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রাজ্য সরকার আর কেন্দ্র সরকার মিলে এর জন্য নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডে বিজেপির সরকার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী তিবেন্দ্র সিং রাওয়াত পলায়ন আয়োগ গঠন করেন। পলায়ন আয়োগ অনেক দফায় নিজেদের রিপোর্ট সরকারের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু যখন চীন সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম গুলোর রিপোর্ট সরকারের হাতে আসে, তখন সরকারের ঘুম উড়ে যায়। এরপর উত্তর কাশী, চমৌলি আর পিথৌরগড়ে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই জেলার সীমান্ত চীনের পাশেই। সেখানকার প্রায় ২৫০ গ্রামের মানুষদের জন্য রোজগার এবং সেসব গ্রামে নতুন করে বসানোর প্ল্যান তৈরি করেছে সরকার।