দেশ আত্মনির্ভর হচ্ছে। তাই সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন আত্মনির্ভরতা। তাহলে খেলনার বাজারই বা বাদ যাবে কেন? ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে এবার খেলনার বাজারে ভারতকে আত্মনির্ভর করার আহ্বান করলেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণ এবং যুবসমাজকে দেশীয় প্রযুক্তিতে খেলনা তৈরির অনুরোধ জানালেন মোদি।
কবিগুরুর কথা উদ্ধৃত করে মোদি (Narendra Modi) বললেন, “খেলনা এমন হওয়া উচিত যা বাচ্চাদের মনঃসংযোগ, সৃষ্টিশীলতাকে বের করে আনে।” প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেন, প্রতিবছর ভারতে ৭ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয় খেলনার বাজারে। অথচ তাতে ভারতের যোগদান অত্যন্ত কম। ভারতের মতো তরুণ জনসংখ্যার দেশে এটা শোভা পায় না। তাই সরকার দেশি খেলনা তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করছে। যারা স্টার্টআপ করছেন, নতুন ব্যবসা খুলছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ, আসুন একসঙ্গে আমরা খেলনা তৈরি করি। লোকাল ‘খেলনার জন্য ভোকাল’ হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার গেমসেরও চাহিদা চরম। কিন্তু বেশিরভাগ কম্পিউটার গেমই বিদেশি। দেশের তরুণ প্রতিভাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা ভারতের পুরনো ধারণা নিয়ে গেম বানান। একসঙ্গে আমরা সফল হবই। আত্মনির্ভর হতে হলে, সব ক্ষেত্রেই হতে হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, পুরো দেশে সেপ্টেম্বর মাস নিউট্রশন মান্থ বা ‘পুষ্টি মাস’ হিসেবে পালন করা হবে। দেশের বিকাশে পুষ্টির ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই গোটা মাসে দেশজুড়ে পুষ্টি নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হবে। স্কুল-কলেজের মাধ্যমেই পুষ্টি সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হবে। তাছাড়া, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে শিক্ষা দিতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিস্মৃত স্বাধীনতা সেনানিদের কাহিনী শিশুদের কাছে তুলে ধরতে অনুরোধ করেছেন মোদি।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের কৃষকদের ভূমিকারও এদিন প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলছিলেন, করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতেও আমাদের কৃষকরা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছেন। লকডাউনের মধ্যেও খারিপ শস্যের উৎপাদন বেড়েছে ৭ শতাংশ। আমি কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।