কেন্দ্রে দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিন থেকেই বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গতকাল রাইসিনায় শপথ গ্রহণের পর শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রীদের দায়িত্ব তথা মন্ত্রক বন্টন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর বিকেলে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তার অন্যতম হল, ছোট দোকানদার, ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের জন্য এ বার পেনশন স্কিম চালু করবে মোদী সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, জিএসটি সহ যে সব দোকানদার, ব্যবসায়ী ও খুচরো বিক্রেতার বছরে ব্যবসা দেড় কোটি টাকার কম তাঁরা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে চল্লিশ বছরের মধ্যে। গোটা দেশে সওয়া তিন লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলবে।
জাভরেকর আরও জানিয়েছেন, যাঁরা নাম নথিভুক্ত করবেন তাঁরা ৬০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। তবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য এবং পেনশন পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের মাসে ন্যূনতম আমানত জমা করতে হবে। প্রতি মাসে কাকে কত টাকা চাঁদা দিতে হবে তা ব্যবসায়ীর বয়সের উপর নির্ভর করবে। অনেকটা বিমার প্রিমিয়ামের মতই হিসাব হবে। যেমন, ১৮ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করলে রোজ ২ টাকা অর্থাৎ মাসে ৬০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। ২৯ বছর বয়সে কেউ নাম নথিভুক্ত করলে তাঁকে মাসে একশ টাকা দিতে হবে। চল্লিশ বছর বয়সে কেউ নাম নথিভুক্ত করলে তাঁকে মাসে ২০০ টাকা দিতে হবে। আবার সরকার তাঁদের অ্যাকাউন্টে ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেবে। সরকারের হিসাব মতো দেশে মোট তিন কোটি ব্যবসায়ী ও দোকানদার এই প্রকল্পের জন্য উপকৃত হবেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদীর প্রথম মেয়াদে নোটবন্দি ও জিএসটি-র বাস্তবায়নের জন্য সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ছোট ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা। অথচ উত্তর ভারতে এদের মধ্যেই একদা বিজেপি-র মজবুত জনভিত্তি ছিল। ফের সরকারে এসে তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বাড়াতে চাইছেন মোদী।