এ দৃশ্য যেন ছিল সাম্রাজ্য বিজয়ের পর রাজার ঘরে ফেরা..। প্রবল বৃষ্টি তখন রাজধানী দিল্লির বুকে। তবুও বিজেপি কর্মীদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। সেখানের বিজেপি হেডকোয়াটার্স জুড়ে তখন শুধুই মোদী মোদী ধ্বনি। ঘড়ির কাঁটা বলছে , সময়টা সন্ধ্যে সাতটা, আর তিনি যেন এলেন দেখলেন আর জয় করে নিলেন। এভাবেই এদিন বিপুল জয়ের পর বিজেপি হেডকোয়ার্টারে কর্মীদের মন জয় করে নেন মোদী।
নিজের বিজয় ভাষনে এদিন মোদী বলেন, দেশের মানুষের কাছে তিনি ফকিরের মতো করে গিয়েছিলেন। আর তার জবাবে মোদীর শূন্য় ঝুলি ভরিয়ে দিয়েছেন দেশবাসী। আর এজন্য তিনি ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।
বিজেপি ট্রপল সেঞ্চুরি পার করার পরও যেন বিজেপি কর্মীদের নম্রতা একই রকমের থাকে, সেই বার্তা দেন মোদী। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচনে বিরোধীরা কী বলেছেন তা গায়ে মেখে আগামী দিনে তিনি চলবেন না। বরং দেশের স্বার্থে দশের স্বার্থে সুষ্ঠু ভারত গড়তে নতুনভাবে এগিয়ে যাবেন তিনি ও তাঁর সরকার।
মোদী এদিন পার্টি কর্মীদের মনে করিয়ে দেন যে , এই বিজেপিই এককালে ২ টি আসন পেয়েছিল। সেই বিজেপিই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৩০০ পার করে এগিয়ে গিয়েছে সরকার গছনের জন্য একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে। ফলে আগের মতো দায়বদ্ধতা আর একাগ্রতা নিয়েই কর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে। আর এই পরিমাণ ভোট নিয়েই মোদীর দাবি, প্রত্যেকটি রাজ্যের জন্যও কাজ করবে তাঁর দল।
এদিন মোদী জানান, সারাদিন তিনি সময়ই পাননি ভোটের ফলাফল দেখার জন্য। ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রিত্বের কাজে। তবে দিনের শেষে পার্টি অফিসে এসে তিনি অমিত শাহের কাছ থেকে সমস্ত জানতে পারেন বলে জানান মোদী।
মহাভারতের উপমা দিয়ে মোদী বলেন, ন্যায় সেই সময়ে হস্তিনাপুরের সঙ্গে ছিল, অর্থাৎ হস্তিনাপুরে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পাণ্ডবদের সঙ্গে সেদিন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, আর ২০১৯ নির্বাচনে ন্যায় অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের রূপ ধরে জনতা ছিল মোদীর সঙ্গে।
এদিন মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তাঁর সমস্ত সময় , শরীর , মন দেশের জন্য উৎসর্গ করলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান ‘ইচ্ছে করে তিনি কখনও কোনও ভুল করেননি। ‘ একইসঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলে দেন, সবার জন্য কাজ করতে তিনি ও তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর থাকবে।