ভোটের মুখে বিচ্ছিন্নতাবাদের সুর শোনা গেল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা অমর আব্দুল্লাহের মুখে। কাশ্মীরের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রী ও আলাদা রাষ্ট্রপতি চাইলেন ওমর আব্দুল্লা। ৩৫-এ এবং বিতর্কিত ৩৭৯ ধারা নিয়ে চাপানুতোর চলছেই। এর মধ্যে এই আইন তুলে নেওয়া হলে আলাদা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দাবি জানিয়ে নতুন বিতর্কে জন্ম দিয়েছেন ওমর আব্দুল্লা।
জম্মু-কাশ্মীরের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রাখতে আমরা সংবিধানে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা বলেছিলাম আমাদের স্বতন্ত্র পরিচিতি বজায় রাখতে হবে,আমাদের নিজস্ব আইন, পতাকা থাকবে। একসময় আমাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছিল। আল্লার অসীম কৃপায় আমরা তা আবার ফেরত আনবো।’ কাশ্মীরে ৩৫-এ এবং ৩৭০ ধারায় হাত দিলে ভারত থেকে কাশ্মীর আগামী দিনে আলাদা হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ওমরের এই মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ” আপনাদের জোটসঙ্গী ন্যাশনাল কনফারেন্স কিভাবে এমন দেশ বিরোধী দাবি তোলার সাহস পায়। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অবস্থান কি? তার স্পষ্ট করুন আপনারা।”
ওমর আব্দুল্লাহর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেন কাশ্মীরের মাটিতে জমি ও জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিউপিলস ডেমোক্রেটিক পার্টি। তাই নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে লাগামছাড়া ভারত বিদ্বেষী বিষ উপরে দিচ্ছেন এই দুই দলের নেতারা। জেটলি বলেন ১৯৪৭ সালে কাশ্মীর যখন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তখন ৩৫-এর অস্তিত্ব ছিল না। এটি গোপনে ১৯৫৪ সালে ঢোকানো হয় ভারতীয় সংবিধানে। এই অনৈতিক বিধি তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই ক্ষেপে উঠেছে পিডিপি ও এনসি নেতৃত্ব। তাদের কাছে এটাই একমাত্র ভারতের সংবিধানের সঙ্গে বাকি কাশ্মীরের যোগসুত্র। তাছাড়া ৩৫এ থাকবে না বাতিল করা হবে সেটা এখন দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন বিষয়। সেটা কখনোই ভোটের ইস্যু হতে পারে না। ওমর আব্দুল্লা ভোটের লোভে পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন নিজের বক্তব্যে। মিথ্যে ভাবাবেগ দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করছেন, ক্ষতি করছে কাশ্মীরের মানুষের। নতুন ভারত এদের দাবি মেনে নেওয়ার মতো ঐতিহাসিক ভুল করতে দেবে না।